৭ ছক্কা মেরে ডি ভিলিয়ার্সকে ছুঁলেন ডি কক

লাল বলের ক্রিকেটে সময়টা এমনিতেই ভালো যাচ্ছিল না কুইন্টন ডি ককের। এর ওপর নেতৃত্ব ভার চেপে ধরেছিল আরও। সবকিছু থেকে মুক্তি মিললো সেন্ট লুসিয়া টেস্টের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর স্বাধীন মনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে এই উইকেটকিপার খেলেছেন হার না মানা ১৪১ রানের ইনিংস। তার এই শতকের পর আরেক দফা দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা জ্বলে ওঠায় ইনিংস হারের শঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ডি ককের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩২২ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ ৯ টেস্টে এটি তাদের তৃতীয়বার ৩০০ ছাড়ানো স্কোর। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেও ভালো অবস্থানে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন শেষে ৮২ রান তুলতে হারিয়েছে ৪ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থেকে পিছিয়ে আছে ১৪৩ রানে। অর্থাৎ, ইনিংস ব্যবধানে জিততে ৬ উইকেট চাই প্রোটিয়াদের।

ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ডি কক পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালের পর প্রথম শতকের দেখা যাওয়া এই উইকেটকিপার ছক্কার বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। হার না মানা ১৪১ রানের ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন ৭ ছক্কা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ডি কক। এর আগে এবি ডি ভিলিয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৭ ছক্কা মেরেছিলেন। ডি ককের ১৭০ বলের ইনিংসে আছে ১২ চারের মার।

ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে সফল বোলার জেসন হোল্ডার। অধিনায়কত্ব হারানো এই পেসার ৭৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন জেডেন সেলস।

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল ২২৫ রানে পিছিয়ে থেকে। তবে এই ইনিংসেও তাদের অবস্থা সুবিধার নয়। অধিনায়ক ক্রেগ ব্যাথওয়েট (৭), কিয়েরন পাওয়েল (১৪), শাই হোপ (১২) ও কাইল মায়ার্স (১২) কেউ কিছুই করতে পারেননি। তৃতীয় দিন শুরু করবেন রোস্টন চেস (২১*) ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড (১০*)।

ক্যারিবিয়ানদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিতে কাগিসো রাবাদা ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর আনরিখ নর্কিয়া ৩৪ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।