শান্ত-মুনিম ঝড় তুললেও হতাশ করলেন মুশফিক

আগের ম্যাচেই খেলেছিলেন ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস। মুনিম শাহরিয়ারের সেই ঝড় শেখ জামাল ম্যাচেও চললো। আজ (সোমবার) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে এই ওপেনার খেললেন ৭৪ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির পর মেহেদী হাসানের তোপে বড় জয় পেয়েছে আবাহনী। বৃষ্টিবিঘ্নত ম্যাচ ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি জিতেছে ৪৯ রানে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুনিমের ৭৪ ও শান্তর ৬৫ রানে ভর করে আবাহনী ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে শেখ জামালের লক্ষ্য ঠিক হয় ১৩ ওভারে ১৪৮। সেই লক্ষ্যে শেখ জামাল ৮ উইকেটে করতে পারে ৯৮ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনী শুরুতে হারায় মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মুনিম ও শান্ত দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মুনিম ৪০ বলে করেন ৭৪ রান। ৯ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় দেখার মতো এক ইনিংস খেলেন এই তরুণ। আর শান্ত ৪২ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে।

তাদের আলো ছড়ানো ম্যাচে হতাশ করেছেন মুশফিক। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ‍ফিরে যান আবাহনী অধিনায়ক। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৬ রান।

শেখ জামালের এবাদত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল, নাসির হোসেন ও জিয়াউর রহমান প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।

বৃষ্টিতে ১৩ ওভারে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আবাহনী বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা নিয়েছেন মেহেদী। এই পেসার ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। শেখ জামালের সর্বোচ্চ রান আসে মোহাম্মদ এনামুলের (২৯*) ব্যাট থেকে। অধিনায়ক নুরুল হাসান করেন ২২ রান। নাসির হোসেন আবারও ব্যর্থ। মাত্র ৬ রান করেছেন তিনি।

মেহেদীর সঙ্গে ঘূর্ণিজাদুতে ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব ও আমিনুল ইসলাম।