জিম্বাবুয়ে সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে: প্রধান নির্বাচক

৮ বছর পর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সফরে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে সাকিব-তামিমরা। বিদেশের মাটিতে এমনিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তবে দলটা জিম্বাবুয়ে বলে হয়তো সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। তারপরও কন্ডিশনের কারণে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জিম্বাবুয়ে সিরিজকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নান্নু বলেছেন, ‘সফরটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখন ওখানে (জিম্বাবুয়ের) অনেক ঠান্ডা। তবে আমরা আশাবাদী, আমাদের খেলোয়াড়রা তিনটা ফরম্যাটেই ভালো খেলবে। আমরা নির্বাচকরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, যে দল দিয়েছি, ওদের কাছ থেকে একটা ভালো সার্ভিস আশা করছি।’

জিম্বাবুয়েতে ৫ টেস্ট খেলে চারটিতে হেরেছে বাংলাদেশ, বাকি একটি ম্যাচ জিতেছে। অন্যদিকে ২৮ ওয়ানডের মধ্যে ১৫টিতে জিম্বাবুয়ে ও ১৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে দুই দল। সর্বশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও একটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।

সর্বশেষ সিরিজের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচক জানালেন বর্তমান দলটি কতটা শক্তিশালী, ‘জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন আমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন। কোনও দেশের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলা কঠিন। অবশ্যই ওদের আবহাওয়া আমাদের চেয়ে আলাদা। সেই হিসেবে আমরা মনে করি, এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং। ২০১৩ সালের চেয়ে আমাদের এই দল অনেক অনেক বেশি পরিণত এবং অভিজ্ঞ। অনেক খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের ছেলেরা তিন সংস্করণে ওখানে ভালো খেলবে। ’

জিম্বাবুয়ে সফর শুরুই হবে টেস্ট দিয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ঢাকা লিগ খেলেই তামিম-মুশফিকদের উড়াল দিতে হবে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে। এই অবস্থায় টেস্ট প্রস্তুতির ঘাটতি থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলে টেস্ট খেলতে যাওয়া অবশ্যই আদর্শ পরিস্থিতি নয়। একটা সুযোগ আছে, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো। দুই দিনের ম্যাচ খেলবো। আর যে কয়দিন সময় পাবো, এর মধ্যেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে এটা আদর্শ নয়। আমরা এটাকে কোনও অজুহাত হিসেবে নিতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো করতে চাচ্ছি, যেমন কন্ডিশন, যেমন পরিস্থিতি থাকুক।’