২১ ঘণ্টার ক্লান্তিকর ভ্রমণ শেষে জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দল

প্রায় ২১ ঘণ্টার ক্লান্তিকর ভ্রমণ শেষে জিম্বাবুয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার ভোররাতে দেশ ছেড়েছিল তামিম ইকবালরা। তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।

বিসিবির এই মিডিয়া ম্যানেজার বলেছেন, ‘ঢাকা থেকে কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, সেখান থেকে অবশেষে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে পা রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।’

জিম্বাবুয়ে যাওয়ার পথেই তিন কোচ দলের সফরসঙ্গী হয়েছেন। নতুন স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ দোহায় জাতীয় দলের সাথে মিলিত হন। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকান প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সও জোহানেসবার্গে জাতীয় দলের সফর সঙ্গী হয়েছেন।

নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাতে কোয়ারেন্টিন করতে হলেও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দলকে কোনও কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে না। পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে সফরকারীরা। সবমিলিয়ে ক্রিকেটাররা জিম্বাবুয়ে যাচ্ছে ৩ ধাপে। প্রথম ধাপে টেস্ট স্কোয়াডের ১৭জন পৌঁছে গেছেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ছুটিতে থাকা সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিম্বাবুয়েতে যাবেন ৩ জুলাই।

এছাড়া হেড পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ট্রেনার ট্রেভর নিক লি ও ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতোরা জিম্বাবুয়েতেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক ও পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকে পায়নি বাংলাদেশ। পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন তারা।

বাংলাদেশ দল দুইদিন অনুশীলন করে ৩ ও ৪ জুলাই দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৫ ও ৬ জুলাই অনুশীলনের পর ৭ জুলাই মাঠে গড়াবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। এরপর ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে তিন ওয়ানডে। ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সব ম্যাচ হবে হারারেতে।

টেস্ট স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম অনিক, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।