দুইশ’তম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টায় মাহমুদউল্লাহ

জুটি গড়তে থাকা টেলরকে হারালেও জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভালোভাবেই। ইনিংসের হাল ধরেছিলেন ডিয়োন মায়ার্স ও রেজিস চাকাভা। সেই জুটি ভেঙে আবারও দলে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। টসে হেরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান।  ক্রিজে আছেন রেজিস চাকাভা (৭২) ও সিকান্দার রাজা (০)।

হারারেতে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান ভালো বোলিংয়ে সূচনা করলেও উইকেট তুলতে পারেননি। নবম ওভারে বোলিং করতে এসে সেই ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউতে ফেরেন ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি (৮)।

এর আগে পঞ্চম ওভারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল ওপেনার মারুমানির। তাসকিনের শর্ট বল টপ এজ হয়ে বাতাসে ভাসলেও সেটি থার্ডম্যান দিয়ে হয়ে গেছে ছক্কা!

প্রথম উইকেট পতনের পর অবশ্য সম্ভাবনাময় দেখাচ্ছিল টেলর ও চাকাভার জুটি। শুরুর অস্বস্তিও কাটিয়ে উঠে তারা। ১৮তম ওভারে আরও ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এই জুটি ভেঙে দেন দুইশোতম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। অলস শটে ক্যাচ উঠিয়ে টেলর ফিরেছেন ২৮ রানে। অবশ্য বিদায় নেওয়ার আগে অন্যরকম এক কীর্তি গড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বাধিক ১৫০০ রান পূরণ করেন তিনি।

টেলর ফিরলে ইনিংসটা মেরামতের দায়িত্ব নেন রেজিস চাকাভা ও ডিয়োন মায়ার্স। এই জুটিকে মনে হচ্ছিল ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। বিশেষ করে চাকাভা তুলে নেন তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৩০তম ওভারে ৭১ রান করে ফেলা এই জুটির প্রতিরোধ ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৪ রান করা মায়ার্স ফিরে যান বোল্ড হয়ে।

তাতে কাজও হয়েছে। পরের ওভারেই দুই ম্যাচ পর খেলতে নামা মোস্তাফিজ ফেরান ওয়েসলে মেধেভেরেকে। কাটার মাস্টারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন সাকিবের কাছে।