সাড়ে চার বছরের অপেক্ষা শেষে সোহানের ‘জবাব’

২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল নুরুল হাসান সোহানের। ওই সিরিজই শেষ, এরপর কেটে গেছে সাড়ে চার বছর। কিন্তু আর কখনোই ওয়ানডে দলে সুযোগ পাননি সোহান। নির্বাচক, অধিনায়ক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট সোহানকে প্রতিভাবান মনে করলেও সোহান নিজের সামর্থ্যের জানান দিতে পারছিলেন না। টিম কম্বিনেশন কিংবা দলে একাধিক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান- এমন ‘অজুহাতে’ তার সুযোগই হচ্ছিল না। অবশেষে সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ৪৫ রানে কি সব অবহেলার জবাব দিলেন সোহান?

এক ওভারে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ থেকে দলকে বের করে আনার দায়িত্ব নেন সোহান। প্রথমে মোহাম্মদ মিঠুন এবং পরে আফিফ হোসেনর সঙ্গে জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তামিম যদি হোন নায়ক, তবে সোহান অবশ্যই পার্শ্বনায়ক।

মঙ্গলবার ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন সোহান। এরপর জিম্বাবুয়ের বোলারদের কোনও সুযোগ না দিয়ে সহজেই ম্যাচ বের করে আনেন। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে সাজান তার ইনিংসটি। তার এই ইনিংসটা হয়তো অধিনায়ক ও নির্বাচকদের নতুন করে ভাবাবে।

সোহানের সঙ্গী মিঠুন শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ছিলেন। ডট বলে চাপ বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু সোহানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সহজেই রান এসেছে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ৫৫ বলে ৬৪ রান করেন। যেখানে মিঠুনের অবদান ছিল মাত্র ১৫। এরপর আফিফের সঙ্গে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সোহান। যদিও এই জুটিতে বড় ভূমিকা ছিল আফিফের। সব মিলিয়ে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে নিজের ফেরাটা রাঙিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন সোহান। ওই সফরেই তার অভিষেক হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডেতে ৬৮ রান করেছিলেন। এরপর অনেকদিন ডাক না পেলেও সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কপাল খুলে যায় তার। সর্বশেষ ঢাকা লিগে পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। শেখ জামালকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিটা ম্যাচে। তাইতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই সুযোগ পেয়েছেন। টেস্টে নামতে না পারলেও ওয়ানডেতে অন্তত জানান দিতে পেরেছেন- এখন তিনি প্রস্তুত!