অবসর প্রসঙ্গে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানাননি তিনি। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) নাকি জানে না তার অবসরের কথা! এই অবস্থায় আজও (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে মুখে কুলুপ এটে থাকলেন মাহমুদউল্লাহ। অবসর নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, শুধু জানালেন শিগগিরই তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের পুরোটা সময় মাহমুদউল্লাহর অবসর নাটক চলেছে। এই অলরাউন্ডারের পাশাপাশি কখনও মুমিনুল হক, কখনও তামিম ইকবাল, কখনও বিসিবি একই নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। এতোদিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে না আসায় তাকে সরাসরি প্রশ্নের সুযোগও ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে তাকে পাওয়া গেলো। তবে প্রশ্ন করা গেলেও ‘পারফেক্ট’ উত্তর পাওয়া গেলো না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘একটা ব্যাপার আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, শুধুমাত্র এই সিরিজটি নিয়ে এখন আমার ভাবনা। এ বিষয়ে (অবসর) ইনশাআল্লাহ আপনাদের আমি অতি শিগগিরই বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

অফ ফর্মের কারণে টেস্ট ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অবশেষে ১৬ মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ হয় তার। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে প্রথম ইনিংসে খেলেন ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। কিন্তু এমন ইনিংস খেলার পরদিনই অভিমানে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। বিসিবির মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত আর ঘোষণা দেননি তিনি। যদিও ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ।

আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্রিকেটার কিংবা বিসিবি কেউই কিছু না জানালেও মাঠের দৃশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে টেস্ট ক্রিকেট আর খেলছেন না মাহমুদউল্লাহ। হারারে টেস্টের পঞ্চম দিনে মাঠে নামার আগে মাহমুদউল্লাহকে ‘গার্ড অব অনার’ দেন সতীর্থরা। ড্রেসিং রুম থেকে মাঠে প্রবেশের পথে তামিম, সাকিব, মুমিনুল, লিটনরা দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান। মাহমুদউল্লাহ হাসিমুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ওইদিনই টেস্ট ক্রিকেট শেষ দিন ছিল মাহমুদউল্লাহর!

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গুঞ্জন ওঠে, টেস্ট থেকে বাদ পড়ছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই গুঞ্জন সত্যিও হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঠিক তার পরের একমাত্র টেস্টে বাদ পড়ে। এমনকি গত বছরের মার্চে বিসিবি ঘোষিত কেন্দ্রীয় টেস্ট চুক্তিতে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লাল বলে উপেক্ষিত ছিলেন তিনি।