মঞ্চ একই, নায়ক চরিত্রে এবার আফিফ

আগের দিনের মতো একই চিত্রনাট্য মঞ্চস্থ হলো মিরপুরের ২২ গজে। কেবলমাত্র বদলেছে ম্যাচের নায়ক চরিত্র। প্রথম ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের ভেল্কিকে ছত্রখান হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ম্যাচে নাসুমের জায়গা নিলেন আফিফ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

আজ (বুধবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আবারও একই চিত্রনাট্য মঞ্চস্থ মিরপুরে। আগের দিন নাসুমের ঘূর্ণিতে দিশেহারা অজিরা আজ মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারের সামনে আত্মসমর্পণ করে। আগের ম্যাচে ১০৮ রান করলেও এদিন কিছুটা উন্নতি হয়েছে সফরকারীদের। মিচেল মার্শের ৪৫ রানের ইনিংসের কল্যাণে ১২২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে অজিরা।

সহজ লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে কঠিন করে ফেলেছিলেন ‍সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ে পর সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা ব্যর্থ হলে হারের শঙ্কা জাগে স্বাগতিকদের। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নিয়ে আসে আফিফ-সোহান জুটি। বিশেষ করে আফিফের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসেই হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজেলউড-স্টার্কের মতো পেসারদের পাত্তা না দিয়ে যেভাবে ২২ গজ মাতালেন, সেটি ছিল দেখার মতো। ৩১ বলে হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পর ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।

শক্ত হাতে ২২ গজ সামানোর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চও দারুণভাবে সামলালেন আফিফ। সিনিয়রদের অবর্তমানে যে দায়িত্বটা ছিল, সেটি করতে পেরে কতটা ভালো লাগছে, ধারভাষ্যকার শামীম আশরাফ চোধুরীর এমন প্রশ্নে ছক্কা হাঁকালেন আফিফ, ‘এটা নিয়ে ভাবিনি। ম্যাচ জেতানো আমার দায়িত্ব। কাজটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’

বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত ও কথার শটে আফিফ জানিয়ে দিলেন, তিনি সব পরিস্থিতির জন্যই তৈরি!