পাপনের মন কেড়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ অস্ট্রেলিয়ার। এই দলে আছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের মতো পেস তারকা। অথচ অজি দুই পেসারকে পাত্তা না দিয়ে তরুণ আফিফ হোসেন যেভাবে ব্যাট করলেন, ছিল দেখার মতো। স্টার্কের একটি বলে চোখ ধাঁধানো কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন আফিফ। যা এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। শুধু আফিফ নন, তরুণ নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ কিংবা শরিফুল ইসলামদের বুকভরা সাহস নিয়ে লড়াই মন কেড়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপানের।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টির নায়ক এই তরুণরা। তরুণদের এমন সাহসী পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি পাপন, ‘আগে তো বাংলাদেশ খেলতে নামলেই আমরা ভাবতাম, বাংলাদেশ হেরে যাবে। হার মেনে নিয়েই খেলতাম। কিন্তু এখন হার-জিত বড় কথা না, ছোট ছোট তরুণ ছেলেগুলো যে সাহস নিয়ে মাঠে নামতে, পুরো শক্তি দিয়ে ফিল্ডিং করছে। এই সিরিজে বোলিং এবং ফিল্ডিং অনেক ভালো করেছে। ব্যাটিং কিন্তু ভালো হয়নি। কিন্তু আশা করি, সামনে ভালো হবে আরও।’

বোর্ড প্রধানের ভালো লাগা মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের সাহসী মনোভাব, ‘আমাদের যে টিমটা খেলছে, আপনি যদি এক এক করে দেখেন। সৌম্য, নাঈম, সোহান, আফিফ, শামীম আছে। এই শামীম, আফিফ, নাইম, মেহেদীরা বড় প্লেয়ারের সামনে খেলা তো দূরে থাক, দেখা হয়েছে কিনা সন্দেহ। মিশেল স্টার্ক, হ্যাজেলউড, জাম্পা- ওদের টপ ক্লাস বোলিংয়ের বিপক্ষে সাহস করে খেলছে, এটাই তো অনেক বড় ব্যাপার।’

তরুণদের অবদানের কথা উল্লেখ করে পাপন বলেছেন, ‘আমাদের যারা অভিজ্ঞ প্লেয়ার আছে, বেশিরভাগ সময়ে তারাই ভালো পারফরম্যান্স করে। ম্যাচ জিতে গেলে ওরা বাদে আর কে কী করলো, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। কিন্তু যখন হেরে যাই, তরুণদের ব্যর্থতা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই। অথচ তরুণদের পারফরম্যান্সে আমরা বহু ম্যাচ জিতেছি।’

সঙ্গে যোগ করলেন, ‘গত ৮ বছরে আপনি যদি খেলাগুলো দেখেন, সৌম্যর জন্য আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচ জিতেছি। মোস্তাফিজ তো আমাদের অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে, সেটা নিয়ে তো সন্দেহ নাই। সব মিলিয়ে আমি বলবো তরুণরা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

২০১৯ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সাহস বেড়েছে বলে মনে করেন বিসিবি প্রধান, ‘অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর আমার মনে হয় তরুণদের বিশ্বাসটা আরও বেড়ে গেছে। ওরা এখন নামেই জেতার জন্য। যার সঙ্গেই হোক, ভয় পায় না।’