মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে ‘অন্য কাহিনি’ জানা নেই পাপনের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট চলাকালে এই ফরম্যাট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। গুঞ্জন সত্যি হতে সময় নেয়নি, টেস্টের শেষ দিনে সতীর্থরা তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দিতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সংবাদমাধ্যম কিংবা বিসিবিকেও স্পষ্ট কিছু জানাননি। তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর মাহমুদউল্লাহর বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। ওই ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহর অবসর-কাণ্ডে অন্ধকারেই আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ (বুধবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘জানি না (মাহমুদউল্লার অবসর ব্যাপারে)। একটার পর একটা সিরিজ চলছে। বায়ো বাবল থাকে... বসতে হবে। এটা এখনও পেন্ডিং আছে।’

মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে ‘অন্য কাহিনি’ আছে কিনা, এমন প্রশ্নে বোর্ড সভাপতির উত্তর, ‘মাহমুদউল্লাহ ইস্যুতে অন্য কোনও কাহিনি আছে কিনা, বসতে হবে। থাকতে পারে। জানি না। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কিন্তু টেস্ট দলে ছিল না। ওকে আমার বাসায় নিয়ে বসেছিলাম। জিজ্ঞেস করেছি বারবার, টেস্টে সে আগ্রহী কিনা।’

মাহমুদউল্লাহর টেস্ট অবসর নিয়ে আগেও বিস্ময় ছড়িয়েছিল পাপনের কণ্ঠে। তাতে মিশে ছিল ক্ষুব্ধতাও। আবারও একই সুর বেজে উঠলো বিসিবির প্রধানের কণ্ঠে, ‘জানা মতে সে সবচেয়ে উপযুক্ত টেস্টে। তিন সংস্করণের মধ্যে। সে আমাকে প্রতিবার বলেছে খুব আগ্রহী টেস্ট খেলতে। আমরা বলেছিলাম কে কোন সংস্করণ খেলবে দাও, সে লিখে দিয়েছে টেস্ট খেলবে। কিন্তু যখন ঘোষণাটা দিলো, এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। তামিমের সঙ্গে এটা মেলাতে পারছি না। তামিমেরটা আমাদের জানা ছিল। রিয়াদের যেটা, অপ্রত্যাশিত ছিল। এমন হওয়া উচিত না। একটা সিরিজ চলার মাঝখানে, কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এমন ঘোষণা কোনও পেশাদার প্লেয়ার দিতে পারে না।’

মাহমুদউল্লাহর টেস্টের চুক্তিতে থাকা নিয়ে পাপন বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহ যেহেতু ঘোষণা দিয়েছে। এরপর আর আমাদের সঙ্গে বসেনি, এজন্য ও টেস্টে নেই এখন। এই চুক্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর আবার পরিবর্তন হতে পারে।’