প্রথম বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ছে সাকিবের

২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওটা আবার ছিল সাকিব আল হাসানের প্রথম বিশ্বকাপ। ভারতকে বিদায় করে সুপার এইটে নেমে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ওই বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে বেশকিছু ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের। ওই জয়ই বিশ্বকাপের মাঠে ভালো খেলতে সহায়তা করেছিল সাকিব-মুশফিকদের। বুধবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের উড়িয়ে দেওয়ার পর সাকিব ২০০৭ বিশ্বকাপ স্মরণ করলেন।

মিরপুরের স্লো ও টার্নিং উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের জন্য একই ফাঁদ পেতে সাফল্য পেতে মরিয়া মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু স্পোর্টিং উইকেট ছাড়া এমন জয় কি আত্মবিশ্বাস জোগাতে যথেষ্ট? কেননা আইসিসির ইভেন্টে এমন উইকেট পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

যদিও ক্রিকেটাররা বরাবরই বলে আসছেন, ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসের বিকল্প অন্য কিছুতে নেই। কিউইদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া সাকিব যেমন বললেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা ম্যাচ জিতেছি। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো বিশ্বকাপের পথে এগিয়ে যাওয়ায়। আমার মনে আছে, আমরা ২০০৭ বিশ্বকাপে যখন ভালো করি, তার আগে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছিলাম টানা, ওয়ানডেতে। ওটা আমাদের সহায়তা করেছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে ভালো করতে। আমার মনে হয়, এই জয়গুলো দলের আত্মবিশ্বাসকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাবে, যেখানে আমরা বিশ্বকাপে গিয়ে ভালো করতে পারি।’

প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় পরের ম্যাচগুলো জিততে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করেন সাকিব, ‘সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিততে পারা সবসময়ই দারুণ অনুভূতি। বিশেষ করে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনও জিতিনি আগে (টি-টোয়েন্টিতে)। এই জয় তাই আমাদের প্রেরণা জোগাবে এবং পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের আত্মবিশ্বাস দেবে।’