সাকিব-মুশফিকের হঠাৎ কী হলো!

ব্যাটিং যেমন-তেমন হলেও সাকিব আল হাসান অন্তত বোলিংয়ে পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু গত দুই টি-টোয়েন্টিতে বল হাতেও নেই সাফল্য। আর ব্যাটিংয়ে? শুধুই হতাশার ছবি। সাকিব তবু অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টিতে কোনও না কোনও ভাবে অবদান রেখেছেন। কিন্তু মুশফিকুর রহিম, ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ তো আসা-যাওয়াতেই ব্যস্ত!

কোয়ারেন্টিন বিধির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি মুশফিক। ফিরেছেন কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে। কিন্তু ব্যাট হাতে মোটেও মেলানো যাচ্ছে না এই মুশফিককে। আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেরে ফেরার সুযোগ ছিল আজ (বুধবার) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু মুখোমুখি তৃতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেছেন তিনি। এ নিয়ে চলতি সিরিজে দ্বিতীয়বার শূন্যতে আউট হলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

আগের তিন টি-টোয়েন্টিতে তার স্কোর যথাক্রমে- ১৬*, ০, ২০*। দুটো ম্যাচে অপরাজিত থাকাকে ইতিবাচক ধরা যায়। কিন্তু মুশফিকসুলভ ব্যাটিং পাওয়া যানি। আজ তো নিজের প্রিয় প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়েই সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এজাজ প্যাটেলের বলে।

কয়েক বল আগে এই এজাজের শিকার হয়েই স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান সাকিব। তার আউটটি ছিল আরও দৃষ্টিকটু। অপ্রয়োজনীয় শটে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন তিনি। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে শটস খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল তার ব্যাটের নিচ দিয়ে উইকেটকিপার টম ল্যাথামের গ্লাভসে জমা পড়লে তিনি স্টাম্পিং করতে ভুল করেননি। ফেরার আগে সাকিব ৮ বলে এক বাউন্ডারিতে করেন ৮ রান।

ভুল শটে যে আউট হয়েছেন, সাকিবের বুঝতে দেরি হয়নি। আউট হওয়ার পরপরই তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। কিছুটা চাপও কি নয়? কারণ টানা দুই ম্যাচে বল কিংবা ব্যাট- কোনও জায়গায় সুবিধা করতে পারেননি। আজ বল হাতে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য।

সাকিব-মুশফিকের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কিউইদের ৯৩ রানের জবাবে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ৬০ রান।

চার মেরেই লিটনের বিদায়

কোল ম্যাকনকির প্রথম বলটা সীমানা ছাড়া করলেন লিটন দাস। আত্মবিশ্বাস হোক কিংবা ঝোঁকেই হোক, আবারও বাউন্ডারির ‘লোভ’ করলেন ডানহাতি ওপেনার। বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেষরক্ষা হলো না লিটনের। উইকেট বিলিয়ে এলেন তিনি।

ওপেনিং সমস্যা কাটলো না নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও। এবার উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হলো ৮ রানে। অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে লিটন ছুঁড়ে এসেছেন উইকেট। ম্যাকনকির আগের বলে চার মেরেছিলেন, পরের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ফিন অ্যালেনের হাতে। কিউই ফিল্ডার ঝাঁপিয়ে নিয়েছেন ক্যাচ।

ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। ১১ বলের ইনিংসে ‍চার মেরেছেন একটি।