নাটকীয় ফাইনালে ব্রাভো-গেইলদের শিরোপার হাসি

ফাইনাল তো এমনই হওয়া চাই। থাকবে উত্তেজনা, ছড়াবে রোমাঞ্চ, আর শেষটায় অপেক্ষা করবে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত। সবই ছিল এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় যেখানে জয়ের হাসি ডোয়াইন ব্রাভো-ক্রিস গেইলদের। আর প্রথমবার শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। ডমিনিক ড্রাকেসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে একেবারে শেষ বলে সেন্ট লুসিয়া কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ব্রাভোরা।

সেন্ট কিটসের মাঠে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করে সেন্ট লুসিয়া। ফাইনালের মঞ্চে স্কোরটা ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। সেন্ট কিটসের সেই চ্যালেঞ্জ জিততে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। ড্রাকেসের অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ফাইনাল জিতে নেয় সেন্ট কিটস।

শেষ ওভারে তাদের জিততে দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু সমীকরণটা আরও কঠিন হয়ে যায় ২ বলে ৫ রান দরকার পড়লে। ঠিক সেই সময়ই কেসরিক উইলিয়ামসের পঞ্চম বল বাউন্ডারি ছাড়া করেন ড্রাকেস। ফলে শেষ বলে দরকার পড়ে ১ রান। সেই হিসাবটাও মিলিয়ে দেন ড্রাকেস। মাত্র ২৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় হার না মানা ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনিই ম্যাচের নায়ক।

শিরোপা জিতলেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন গেইল। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফেরেন প্যাভিলিয়নে। আরেক ওপেনার এভিন লুইস করেন ৬ রান। পরে জোশুয়া দা সিলভার ৩২ বলে ৩৭ ও শেফানি রাদারফোর্ডের ২২ বলে ২৫ রান পথে ফেরে সেন্ট কিটস। অধিনায়ক ব্রাভো আউট হন ৮ রানে।

এই ফাইনাল দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৫০০ টি-টোয়েন্টির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ব্রাভো। স্মরণীয় ম্যাচটি আবার তিনি রাঙিয়ে নিয়েছেন শিরোপা দিয়ে। তাতে ১৫ শিরোপা জিতে জাতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সতীর্থ কিয়েরন পোলার্ডকে ধরে ফেলেছেন।

এর আগে রাকিম কর্নওয়াল (৩২ বলে ৪৩), রোস্টন চেস (৪০ বলে ৪৩) ও কেমো পলের (২১ বলে ৩৯) ব্যাটে ১৫৯ রান করে সেন্ট লুসিয়া। অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার করেন ১১ রান।

সেন্ট কিটসের ফওয়াদ আহমেদ ও নাসিম শাহ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর একটি করে উইকেট শিকার ফাবিয়েন অ্যালেন, ড্রাকেস ও জন-রাস জাগেসারের।