নেতা হিসেবে বরাবরই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে মাশরাফি মুর্তজা। অধিনায়ক মাশরাফি সতীর্থদের পাশে ছিলেন সবসময়। তবে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা একটু বেশিই গাঢ়। আদর করে তাকে ‘হিরো’ বলেও ডাকতেন। মাশরাফি ও তাসকিনের রসায়ন বেশ পুরনো। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে তাসকিন যখন বাদ পড়েছিলেন, সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থের জন্য অঝরে কেঁদেছিলেন মাশরাফি। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাসকিন ও মাশরাফি উইকেট উদযাপন ‘ম্যাশকিন’ এখনও সবার চোখে ভাসে। সেই দুজনকে এবার পাওয়া গেলো অন্যরকমভাবে। যেখানে ‘শিক্ষক’ মাশরফি, আর ‘ছাত্র’ তাসকিন।
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের সিরিজের পর জাতীয় দলে খেলা হয়নি মাশরাফির। নির্বাচকরা ফিটনেস ইস্যুতে দলেও রাখেননি মাশরাফিকে। সব মিলিয়ে সামনে খেলার সুযোগ পাওয়াটা এককথায় কঠিন। আজ (বৃহস্পতিবার) হুট করেই মিরপুরে গিয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। এসেই ‘শিক্ষকের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ। ‘ছাত্র’ তার প্রিয় সতীর্থ তাসকিন।
কী ধরনের কাজ, সেটিও খেলাসা করেছেন তাসকিন, “মূলত দুই-তিনটা গ্রিপ দেখিয়েছেন। আর বলেছেন, একসঙ্গে এত কিছু নিয়ে কাজ করা যাবে না। যেহেতু সামনেই অনেক খেলা। আপাতত কাটার ট্রাই করতে বলেছেন। তো ওইটাই দেখালেন। বললেন, ‘যদি ভালো লাগে এটা কন্টিনিউ করতে পারো। এটা আয়ত্তে এলে আরেকটা।”
মাশরাফির কাছ থেকে স্লোয়ার শিখে রপ্ত করতে পারলে দারুণ হবে বলে মনে করছেন এই পেসার, ‘আমার শক্তি যেটা পেস বাউন্স এটার সঙ্গে এটা যোগ হলে আরেকটা বিকল্প হতে পারে। মাশরাফি ভাই বলেছেন যদি ভালো লাগে তাহলে চেষ্টা করতে। হয়তো একটু সময় লাগবে। যদি শিখতে পারি আমার মনে হয় ভালো হবে।’