না চেয়েই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন পাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোট চাননি নাজমুল হাসান পাপন। তারপরও যৌথভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বুধবার মিরপুর কার্যালয়ে ক্লাব ক্যাটাগরিতে ৫৭ ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তার মধ্যে ৫৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। ভোটের মাধ্যমে প্রথমবার পরিচালক নির্বাচিত হলেও পাপন একটি ভোটও চাননি কোনও কাউন্সিলের কাছ থেকে।

পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর আজ (বৃহস্পতিবার) টানা চতুর্থবারের মতো বসেছেন বিসিবি সভাপতির চেয়ারে। নতুন মেয়াদে সভাপতি হয়ে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেছেন, ‘সত্যি কথা আমি কারও কাছে ভোট চাইনি। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, কী হয়। ভোট না চেয়ে কতদূর যেতে পারি।’

ভোটারদের নিয়ে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘অনেক ভোটার দেখেছিলাম, দেখার পর অনেকে বললো যে এই ভোটটা তো পাবো না। সব তো আর আমাদের লোক না। আমার ধারণা ছিল এবার প্যানেল না দেওয়ার পেছনে এটা একটু দেখা। ৫৩ জনের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদেরকে দেখে আমরা মনে করি বিরোধী দল। কিন্তু ক্রিকেটের স্বার্থে ওরা কিন্তু আমাকে ভোট দিয়েছে। ক্রিকেট এমন একটা প্যাশন যে এখানে আমরাই নিজেদেরকে আলাদা করে দলাদলি করে ভাগ করে রেখেছি। এখানে সবাই একসঙ্গে থাকবে এটাই হবে আমার সামনের চ্যালেঞ্জ।’
 

নির্বাচনে আসতে হলে মনোনয়নপত্রে একজন প্রস্তাবক ও দুইজন সমর্থকের প্রয়োজন হয়। পাপনের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ছিলেন চট্টগ্রামের কাউন্সিলর আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া তার সমর্থক ছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের গাজী গোলাম মর্তুজা  ও  আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের এনায়েত হোসেন।

প্রথম দফায় ২০১২ সালে সরকারের মনোনয়নে বিসিবিতে সভাপতি হয়ে এসেছিলেন পাপন। ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে পরিচালক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে এবার ১৫ প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার পূর্ণ মেয়াদের জন্য পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন পাপন। একই সঙ্গে টানা চতুর্থবারের মতো বসলেন বিসিবি সভাপতির চেয়ারে। বৃহস্পতিবার পরিচালকদের ভোটে বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।