আইপিএল খেলে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। গত দুই সপ্তাহ বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুতে প্রস্তুতি নিলেও সাকিব ছিলেন আইপিএলে ব্যস্ত। আইপিএলের ব্যস্ততা শেষে সাকিবের সামনে এখন বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তারপরও এই ফরম্যটে ভালো করতে আশাবাদী সাকিব। এছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে আইসিসির বেশ কিছু ইভেন্ট আছে। সাকিব জানিয়েছেন, তার চূড়ান্ত লক্ষ্য দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা নকআউট পর্বে উঠতে সক্ষম। আমাদের বিশ্বকাপ যাত্রা এখন পর্যন্ত অতটা দুর্দান্ত নয়। কিন্তু কীভাবে ম্যাচ জিততে হয়, সেই সূত্র এখন আমাদের জানা। সাম্প্রতিক সিরিজ জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’
এই ফরম্যাটে ম্যাচ খেলার সুযোগের অভাবেই বাংলাদেশ পিছিয়ে, এমনটাই মনে করেন সাকিব, ‘আমরা পর্যাপ্ত টি-টোয়েন্টি, বিশেষ করে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলিনি; যে কারণে এখনও আমরা সফল নই। আমাদের হাতেগোণা কয়েকজন খেলোয়াড় আইপিএল, সিপিএল (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) ও পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ) খেলে; কিন্তু পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি খেলতে পারিনি আমরা। হ্যাঁ, আমাদের বিপিএল আছে। কিন্তু এটা কোভিড ও অন্যান্য সমস্যার কারণে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ হাফসেঞ্চুরিতে ৬০৬ রান করেছিলেন সাকিব। এছাড়া বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। ফরম্যাট ভিন্ন হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার, ‘আমি আমার ২০১৯ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। ফরম্যাটটি ভিন্ন, চ্যালেঞ্জগুলোও তাই ভিন্ন হবে। কিন্তু আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য, বাংলাদেশের হয়ে আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতা।’
ব্যক্তিগত না থাকলেও দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য সাকিবের, ‘আমার কোনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই। আমি যেকোনও উপায়ে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই সবসময়। আমি যেটা বলেছি, শিরোপা জেতাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। তিন বছরে আইসিসির টানা তিনটি ইভেন্ট আছে, আমরা যেন অন্তত একটির শিরোপা জিততে পারি।’