নাসুমের কার্যকারিতায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেলো বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনোই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেনি বাংলাদেশ। ব্যাটারদের টানা ব্যর্থতায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু নাসুম আহমেদের ছোট কার্যকর ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। সুপার টুয়েলভে ৯ উইকেট হারিয়ে করেছে ১২৪ রান।    

অথচ টপের ব্যর্থতায় পরিস্থিতি এমন ছিল ৯৮ রানেই পড়ে যায় ৭ উইকেট! সেখান থেকে স্কোরবোর্ড চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় নাসুম আহমেদ আদিল রশিদের ১৯তম ওভারে ১৭ রান নিলে। তার মাঝে ছিল দুটি ছয় ও এক চার। আবুধাবিতে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে সর্বোচ্চ রান ছিল কেবল মুশফিকের। ৩০ বলে করেন ২৯ রান। যার সঙ্গী ছিলেন মাহমুদউল্লাহও। ২৪ বলে ১৯ রান করেছেন। 

অথচ উইকেট ভালো বিবেচনায় শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সূচনা তারা পায়নি। উল্টো তিন ওভারের মাঝেই ফিনে যান দুই ওপেনার। টানা ব্যর্থ লিটন আজ সুযোগ পেলেও ভাগ্য ফেরাতে পারেননি। ৯ রানে বিদায় নিয়েছেন তৃতীয় ওভারেই! মঈনের স্পিনে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। ব্যাট-বলে সংযোগ না হওয়ায় টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন লিভিংস্টোনের হাতে। পরের বলেও সাফল্য পান ইংলিশ অফস্পিনার। তার স্পিনে মিড অনে বাজে শটে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম। এই ওপেনার ফিরেছেন ৫ রানে।

চাপে পড়ে যাওয়া এই সময়টায় সাকিবও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। অথচ পাওয়ার প্লের এই সময়টাতেই স্কোরবোর্ড ফুলেফেঁপে ওঠার কথা! এই অলরাউন্ডারকে রশিদের ক্যাচ বানিয়ে রানের রাশ টেনে রাখতে সক্ষম হন ওকস। বাংলাদেশের হতাশার জায়গা হয়ে ওঠা পাওয়ার প্লেতে উঠে ২৭ রান! 

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ মিলে ইনিংস মেরামতে মনোযোগী হয়েছিলেন তারপর। ব্যাটিংটা টি-টোয়েন্টি সুলভ না হলেও ৩৭ রান যোগ করে ধাক্কা সামাল দিতে পেরেছেন। দারুণ সম্ভাবনাময় এই জুটি ভাঙে মুশফিকের বিদায়ে। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার লেগ বিফোরে ফেরেন ৩০ বলে ২৯ রান করে।

চাপ বেড়ে যাওয়ায় পরের ব্যাটাররাও খেই হারিয়ে বসেন। রানের প্রান্ত বদলে ভুল বোঝাবুঝিতে মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান আফিফ। উইকেট পতনের মিছিল তারপরেও অব্যাহত থাকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সঙ্গী হারিয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলেন। লিভিংস্টোনের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন ১৯ রানে!  তাতে ব্যয় হয়েছে ২৪ বল। 

শেষ দিকে মেহেদী-নুরুল মিলে কার্যকর হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়েছে টাইমাল মিলসের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং! স্কুপ করতে গিয়ে মেহেদী ১১ রানে ফিরেছেন। তবে নাসুমের কার্যকর ব্যাটিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। তাতেই স্কোরবোর্ড দাঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষের দুই বলে নুরুল হাসান (১৬) ও মোস্তাফিজ ফিরলে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশ।

টাইমাল মিলস ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১৫ রানে দুটি নিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, ১৮ রানে সমসংখ্যক উইকেট নেন মঈন আলীও। ১২ রানে একটি শিকার ক্রিস ওকসের।