সেমিফাইনালের আগে ৩৬ ঘণ্টা আইসিইউতে ছিলেন রিজওয়ান!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়তে থাকা পাকিস্তানের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। যার ঝলক মিলেছে দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রিজওয়ানের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করেই তো ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল বাবর আজমরা। অসাধারণ এই ইনিংস দেখে বোঝার উপায় ছিল না, এই মানুষটাই ম্যাচের আগে ৩৬ ঘণ্টা আইসিইউতে ছিলেন!

এত কিছুর পরেও মাঠে রিজওয়ানের নিবেদন ছিল অনুসরণীয়। মিচেল স্টার্কের বুলেট গতির বাউন্সারও তাকে আঘাত দিয়েছিল। কিন্তু নিজের লক্ষ্য থেকে রিজওয়ানকে মোটেও টলানো যায়নি। দ্বিতীয় সেমির পর রিজওয়ানের নিবেদন নিয়ে কথা বলেন পাকিস্তানের টিম ডক্টর নাজিবুল্লাহ সুমরো, ‘ওর আসলে ভীষণ রকমের ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল। ৯ নভেম্বরের এই ঘটনার পর তাকে হাসপাতালেও থাকতে হয়েছে। অবস্থা এমন ছিল আইসিইউতে থাকতে হয়েছে দুই রাত। এর পর ম্যাচের জন্য ফিট হতে অবিশ্বাস্যরকম উন্নতি করে ম্যাচ খেলতে নেমেছে।’

শরীরের এই অবস্থার পরেও তার খেলার সিদ্ধান্ত নিতে মূল ভূমিকা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে দেশের হয়ে খেলতে রিজওয়ানের দৃঢ় সংকল্পই এক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে বেশি। নাজিবুল্লাহ বলেছেন, ‘ওর বিষয়ে সিদ্ধান্তটা আসলে টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়েছে। আর তাতে পুরো দলের মনোবল কেমন সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠে। দেশের হয়ে খেলতে রিজওয়ানের সংকল্প ও দৃঢ়চেতা মনোভাবই আমরা দেখতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবারও যা মাঠে ফুটে উঠেছে।।’

অথচ রিজওয়ানের এমন শারীরিক অবস্থার কথা কাউকেই জানতে দেওয়া হয়নি। তার গুরুতর অসুস্থতার কথা সবার সামনে তুলে ধরেন ব্যাটিং পরামর্শক ম্যাথু হেইডেন। সেমিফাইনালের সময় টিভিতে সেটি সবার সামনে আনেন তিনি। অসুস্থতার কারণে শুধু রিজওয়ানই নন, শোয়েব মালিকও বুধবার অনুশীলন করতে পারেননি। অথচ ম্যাচ ডেতে এর কোন প্রভাবই পড়তে দেননি তারা!