তাসকিনের কাছে বিশ্বকাপ এখন অতীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হতাশা কাটতে না কাটতে আরেকটি সিরিজের সামনে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষও সহজ কেউ নয়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হতে হবে। এরপর চট্টগ্রাম ও ঢাকাতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলবে দুই দল। এখন বিশ্বকাপের অতীত ভুলে পাকিস্তান সিরিজ নিয়েই বেশি ভাবার পক্ষে পেসার তাসকিন আহমেদ।

বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে তাসকিনের কথা, ‘সত্যি বলতে আশা অনুযায়ী বিশ্বকাপে আমাদের দলগত পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। কিন্তু সেটা এখন অতীত। পাকিস্তান সিরিজে নতুন করে শুরু করতে চাই। অবশ্যই কঠিন হবে। তবে সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করতে চাই।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক কথায় উড়ন্ত পারফরম্যান্স ছিল পাকিস্তানের। সেমির আগ পর্যন্ত ছিল অপরাজিতও। বাংলাদেশ সেই জায়গায় ছিল বড্ড বিবর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজটি কঠিন হওয়ার কথা। কিন্তু তাসকিন যা বলছেন, তাতে আশার পালে হওয়া লাগছেই, ‘কোনও সন্দেহ ছাড়াই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের শীর্ষ একটি দল। বিশ্বকাপে তারা দারুণ খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত সেমিফাইনালে হেরে গেছে। কিন্তু তারা সব বিভাগেই ভালো করছে। ওদের সঙ্গে ভালো করতে হলে সব বিভাগেই আমাদের ভালো করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো। সহজ হবে না, কিন্তু আমরা আশাবাদী।’ 

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে টানা জয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেগুলো ঘরের মাঠে স্লো ও টার্নিং উইকেটে। সেখানে ক্রিকেটারদের তেমন কোন ভূমিকা ছিল না। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এমন উইকেটে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। এবার কি টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা বদলাবে? নাকি আবারও স্পিনিং উইকেট বানানো হবে মিরপুরে।

তাসকিন অবশ্য পাকিস্তান সিরিজে স্পোর্টিং উইকেট-ই চাইছেন, ‘ফাস্ট বোলাররা সবসময় বোলিং সহায়ক উইকেটে খেলতে চায়। কিন্তু সাদা বলে বোলিং সহায়ক উইকেটে কমই খেলা হয়। স্পোর্টিং উইকেটে বেশি হয়। মিরপুরেও স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি, যেখানে ব্যাটার-বোলার উভয়ই সুবিধা পাবে। কন্ডিশন যেমনই থাক, বোলার হিসেবে ওই কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ।’