ফাইনালের আগে চোট, স্ক্যানের ফল জানতেই চাননি ওয়েড

পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক ম্যাথু ওয়েড। অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার পর নেমেছিলেন চূড়ান্ত অনুশীলনে। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সাইড স্ট্রেইনে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলা নিয়ে। স্ক্যানও করতে পাঠানো হয়েছিল এই উইকেটকিপারকে। যদিও স্ক্যানের রেজাল্ট জানতেই চাননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর চোটের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন ওয়েড।

দুবাইয়ের ফাইনালের আগে চূড়ান্ত অনুশীলনের একেবারে শেষ দিকে চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার। নেট সেশনে পাওয়া সাইড স্ট্রেইনে ফাইনাল খেলা নিয়ে শঙ্কা জন্মেছিল। যদিও চোট নিয়েই উইকেটের পেছনটা সামলেছেন ওয়েড। মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারের দারুণ পারফরম্যান্সে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তাকে।

অস্ট্রেলিয়ার টিম ডাক্তার, ফিজিও, অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সবাই জানতেন তার সাইড স্ট্রেইনের কথা। যদিও ওয়েড স্ক্যান পরীক্ষার ফল জানতে চাননি। এই উইকেটকিপার বলেছেন, ‘(ফাইনাল) ম্যাচের ম্যাচের আগের দিন, অনুশীলন সেশনের শেষ হওয়ার দুই বল আগে আমার সাইড স্ট্রেইন হয়। সত্যি বলতে আমি স্ক্যান করাতে যেতে চায়নি। কিন্তু তারা আমাকে পাঠায়। ফিজিও ও চিকিৎসকদের কৃতিত্ব দিতে হবে কারণ তারা আমার কাছে পরীক্ষার ফল গোপন রেখেছিলেন। শুধু বলেছিলেন, আগামীকাল আমার অবস্থা কেমন হয়, দেখবেন।’

পরের দিনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ওয়েড এভাবে, ‘আগের দিন যেমন ছিল, ওই দিনও আমার পুলড আপ একই ছিল। তাই একইভাবে বলে হিট করতে পারছিলাম। তারা আমাকে আরও বল মারার জন্য দেয়, সেখানেও আমি ভালো অনুভব করি।’

অধিনায়ক ফিঞ্চ জানিয়েছেন, তিনি শঙ্কিত ছিলেন ওয়েডের চোট নিয়ে, ‘ওই সময় অবশ্যই বেশ ভয় ছিল তাকে নিয়ে। আমি জানতাম দ্বিতীয় গ্রেডের চোট এসেছে পরীক্ষায়। ভেবেছিলাম দ্বিতীয় গ্রেডের সাইড স্ট্রেইন তার খেলা কঠিন করে তুলবে। তবে যদি কেউ এই অবস্থাতেও খেলতে চায়, তাহলে সেটা তার ওপরই নির্ভর করে। আমার মনে হয় ও দারুণভাবে কিপিং করেছে। ওর পেছনে থেকে আমি খেয়াল করেছি সে বেশ কয়েকবার ড্রাইভ দিতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করেছে, তবে একবারও মিস করেনি (বল ধরা)।’