তাইজুলের মন খারাপ নয়

তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছে। কিন্তু ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশের ৩৯ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট! সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৮৩ রানের লিড স্বাগতিকদের। চমৎকার বোলিংয়ে তাইজুল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছে এনে দিলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। তাতে মন খারাপ হতেই পারে তার। যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা এই স্পিনার শোনালেন অন্য কথা।

তৃতীয় দিনের শেষ বিকালে বাংলাদেশের ব্যাটিং হতাশা ছড়ালেও নবমবার ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুলের বিশ্বাস, চতুর্থ দিনে আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন ব্যাটাররা। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-লিটনের ২০৬ রানের জুটিতে ৩৩০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকটা একই অবস্থায় বাংলাদেশ।

দারুণ একটি দিন কাটনো তাইজুলের দিন শেষে মন খারাপ হওয়া কথা থাকলেও জানালেন, তার মধ্যে কোনও হতাশা নেই, ‘আসলে জিনিসটা হতাশার মতো নিলে হবে না। হতাশ হচ্ছি না। আপনি দেখবেন ক্রিকেট খেলাটাই এমন। কেউ তো আর ইচ্ছা করে আউট হতে চায় না। প্রথম ইনিংসেও দেখেছেন আমাদের ৪ উইকেট দ্রুত পড়ে গিয়েছিল। তারপরও আমরা কামব্যাক করেছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা এমনটাই আশা করছি, কামব্যাক করার।’

২৫৭ রানে পাকিস্তানের নবম উইকেট ফেলে দিলেও শেষ উইকেটটি বেশ সমস্যায় ফেলেছিল। ফাহিম আশরাফ-শাহীন আফ্রিদির ২৯ রানের জুটি পাকিস্তানের স্কোরকে ২৮৬ পর্যন্ত নিয়ে যায়। শেষ উইকেট নিয়ে তাইজুল বলেছেন, ‘শেষের দিকে যে সব টেলএন্ডার থাকে, তারা হুটহাট রান করে ফেলে। এটা আসলে হতে পারে, অনেক সময় হয়ে যায়। টেস্ট ক্রিকেটের ফিল্ডিং সেটআপ অন্যরকম থাকে। এই কারণেই আসলে এই জিনিসটা হয়।’

গত কয়েক বছর নিয়মিত টেস্ট খেলছেন না সাকিব আল হাসান। ফলে তাইজুলকেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়। সাকিবের না থাকাতে দুটি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বাঁহাতি এই স্পিনারকে। কী সেই দায়িত্ব, শুনুন তাইজুলের মুখেই, ‘অনেক ম্যাচেই সাকিব ভাই ছাড়া আমি খেলছি। সাকিব ভাই থাকলে দায়িত্বটা থাকে একরকম, না থাকলে থাকে আরেকরকম। সাকিব ভাই না থাকলে রান চেকেরও একটা চাপ থাকে, উইকেট নেওয়ারও একটা চাপ থাকে। দুটো দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করা চাপ হলেও অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’