ডমিঙ্গোকে নিয়ে জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত: বিসিবি সভাপতি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে কোচ নিয়োগ নিয়ে জটিলতা থাকায় ডমিঙ্গোর ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে আগামী জানুয়ারিতে বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গঠিত রিভিউ কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর ডমিঙ্গোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ (শনিবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘আমরা এখনও অপেক্ষা করছি রিপোর্টের জন্য। আমাদের তদন্ত কমিটি যেদিন রিপোর্ট দেবে, এরপরই আমি বসতে চাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে। অনেক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারই কিন্তু যাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট খেলতে। সব মিলিয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করি, জানুয়ারির মধ্যেই ডমিঙ্গোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’

২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট ডমিঙ্গোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয় বিসিবিরি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল ডমিঙ্গোর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। তবে তার আগেই দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি। সেখানে অবশ্য কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। অন্য জায়গা থেকে ভালো প্রস্তাব আছে জানিয়ে চুক্তিতে কঠিন কিছু শর্ত জুড়ে দেন তিনি। যার একটি- মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তার চুক্তি বাতিল করা হলে পুরো এক বছরের বেতন দিতে হবে!

পাপন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাসেল ডমিঙ্গো আমাদের কাছে মেইল করে, তার ভালো একটি প্রস্তাব এসেছে, ও (ডমিঙ্গো) চলে যেতে চায়। ও জানতে চাচ্ছিল, আমরা ওর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবো কিনা। যদি না বাড়াই তাহলে ঝুঁকির মধ্যে ও (ডমিঙ্গো) থাকবে না। তখন আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেছিলাম নতুন কোচ। পরে দেখলাম, এই সময়ের মধ্যে কোনও কোচ পাওয়া সম্ভব নয়। যদি পাই-ও বিশ্বকাপের আগে আগে নতুন কোচ আনবো কিনা সেটা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দে ছিলাম। বেশিরভাগ কোচ যাদের দেখছিলাম, তারা আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বুকড।’

মূলত নতুন কোচ পাওয়ার শঙ্কাতেই ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিসিবি প্রধানের ভাষায়, ‘ওইসব কথা মাথায় নিয়ে বোর্ড চিন্তা করে তার সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার। আমরা চুক্তি বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন আপনারা যদি বলেন, তাকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা কী? তাহলে আমি বলবো, আগে যে চিন্তা-ভাবনা ছিল, তা-ই আছে। আমরা বিশ্বকাপের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আগামী জানুয়ারিতে আমরা কোচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’

কোচ নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্নগুলো এসেছে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণে, এমনটাই মনে করেন পাপন, ‘এই প্রশ্নগুলো আপনারা করছেন আসলে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণেই। বিশ্বকাপের আগে সিরিজগুলো হয়েছে, তখন কিন্তু এই প্রশ্ন ওঠেনি। দল পারফর্ম করছিল, ভালো করছিল। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের পর কথাগুলো এসেছে।’