আগেও কামব্যাক করেছি, এবারও পারবো: মাহমুদউল্লাহ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স, এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে এই ফরম্যাট ও টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। বিশেষ করে, ঢাকা টেস্টে যেভাবে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে, বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সামর্থ্যের পাশে বসিয়েছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এককথায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভালো কোনও খবর নেই। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য হতাশ হচ্ছেন না। বরং আঁধার কাটিয়ে আলো ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সেখানেও একই চিত্র। তারপরও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ভেঙে পড়ছেন না। অতীতে খারাপ সময় কাটিয়ে যেভাবে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ঠিক একইভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন এই অলরাউন্ডার।

আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে বিসিবি একাডেমি কাপ। মিরপুরে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেখানেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেছেন, ‘শেষ বিশ্বকাপ ও পাকিস্তান সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কিন্তু আপনি যদি পুরো বছরটা দেখেন, আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। হোম কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ। সো এখানে কিছু পজিটিভ আছে। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, এবং আমি আমার দলের সঙ্গেই আছি। এর আগেও যখন আমরা কামব্যাক করতে পেরেছি, এবারও পারবো ইনশাআল্লাহ।’

সামনে বছরই আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়ায় মিশন আরও কঠিন। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন খুবই ভালো। ট্রু বাউন্স, ট্রু পেস থাকে। এখন বিষয়টা আমাদের ওপর, কীভাবে আমরা জিনিসটা হ্যান্ডেল করি।’

সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আগে যে জিনিসটা বলে আসছি, সম্ভবত আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে আরও ভালো করতে হবে। বোলিং ইউনিট আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। কিছু ছোটখাটো জিনিস আছে, সেগুলো আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি সিরিজে উন্নতি করি, ইনশাআল্লাহ আমরা খুব ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো।’

তাহলে ওই বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা কী? মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘পরিকল্পনার বিষয়টা তো আসলে আমার অংশ না মূলত। এটা ডেভেলপমেন্টে যারা আছেন বা নির্বাচক প্যানেলে যারা আছেন, ম্যানেজমেন্ট আছেন, উনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু খেলোয়াড়ি দিক থেকে বলতে পারি, যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আসলে যেন আরও উন্নতি করতে পারি।’

বিসিবি একাডেমি কাপে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলা হবে। প্রথমে সাত বিভাগের বাছাইকৃত ৯৬ দল খেলবে বিভাগীয় পর্যায়ে। ওই সাত বিভাগের সঙ্গে ঢাকা মহানগরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ নিয়ে হবে জাতীয় পর্যায়ে লড়াই।

আগামীর ক্রিকেটারদের উদ্দেশে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দিন শেষে পারফরম্যান্সটাই ম্যাটার করে। আপনি যদি ভালো পারফর্ম করেন, অবশ্যই আপনি নজরে থাকবেন। আপনাকে বড় লেভেলে খেলার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু দিনশেষে নিজের ওপরও অনেক কিছু থাকে যে আমি কীভাবে তৈরি হতে চাই, আমার লক্ষ্যটা কী? আমি আমাকে কীভাবে দেখছি আন্তর্জাতিক লেভেলে খেলার জন্য। এ জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, বোর্ড এ কাজগুলো ভালোভাবে করছে।’