এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পাকিস্তানের

বিশ্বকাপের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান সফরে গিয়ে একই পরিণতি ক্যারিবিয়দের। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে, পরে বোলিংয়েও ঝড় তুলে স্বাগতিক পাকিস্তান। ইফতিখার আলী ও শাহদাব খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে স্বাগতিকরা। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আগের ম্যাচের চেয়ে কিছুটা ভালো ব্যাটিং করলেও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে ফেললো পাকিস্তান।
 
খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪ রান করে ফিরে যান ওপেনার শাই হোপ। বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শামারা ব্রুকস (১০)। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ব্রেন্ডন কিংস ও নিকোলাস পুরান যা একটু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মোহাম্মদ নওয়াজের বলে হারিস রউফকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নিকোলাস পুরান (২৬)। এরপর ফের ভেঙ্গে পড়ে ক্যারিবিয় ব্যাটিং লাইনআপ। কেবলমাত্র ব্রেন্ডন কিংস একাই লড়াই করে গেছেন। ৪৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ব্রেন্ডন ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ১৯ বলে ৩৫ রান করে জয়ের চেষ্টা চালান। কিন্তু সেই চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি ক্যারিবিয়দের ম্যাচ জিততে।
  
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার শাহিন আফ্রিদি। এই পেসার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ রানে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৭ রানে অধিনায়ক বাবর আজম আউট হওয়ার পর ফাখর জামানও ফিরে যান ১০ রানে। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলী মিলে ৪৮ রান করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। ৩০ বলে ৩৮ রান করে রিজওয়ান আউট হলে মাঠে নামেন ইফতিখার আহমেদ। ততোক্ষণে সঙ্গীকে হারিয়ে ৩৪ বলে ৩১ রান করেন হায়দার আলীও সাজঘরে ফেরেন। এরপর ইফতিখারের ১৯ বলে ৩২ এবং শাদাব খানের ১২ বলে ২৮ রানের ঝড়ে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করতে পারে।
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে ওডেন স্মিথ ২ উইকেট নেন ২৪ রান দিয়ে।