নিজেকে ভেঙে গড়া নাবিল দিনে ১৫০০ বল পর্যন্ত খেলেছেন!

দেশের হার দেখে ছোট্ট ছেলেটি স্বপ্ন দেখলো, ‘একদিন দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেবো আমি।’ সেই ছোট্ট ছেলে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে অনেক ম্যাচই জিতিয়েছেন। ২০২০ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে ছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। যদিও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। গত আসরে ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও এবারের অভিযানে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং অর্ডারের প্রাণভোমরা তিনিই।

করোনাভাইরাসের কারণে সব যখন স্থবির, নাবিল তখন বসে থাকেননি। গত রমজানে দেড় লাখ টাকা খরচ করে দুই দফায় ৩০ দিন অনুশীলন করেছিলেন মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। দিনে ১২০০ থেকে ১৫০০ বল খেলছেন! ১৮ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌঁড়াতে হয়েছে তরুণ এই ক্রিকেটারকে। সাকিবের অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়ে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলাপ করে নিজের ব্যাটিং সুইং পরিবর্তন করে ফেলেন নাবিল। এই পরিবর্তনে সাফল্য হাতেনাতেই পেয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার।

চিন্তা-ভাবনাতে পরিচ্ছন্ন ক্রিকেটার নাবিল। গত দুই বছরে হয়েছেন আরও পরিণত। ব্যাটার হলেও প্রয়োজনে মিডিয়াম পেসে হাত ঘোরাতে পারদর্শী তিনি।

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৭ যোদ্ধাকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে বাংলা ট্রিবিউনে। আজ (শনিবার) থাকছে টপ অর্ডার ব্যাটার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের একান্ত সাক্ষাৎকার-

বাংলা ট্রিবিউন: শুনেছি আপনি পড়ালেখোয় খুব ভালো, তাহলে ক্রিকেটে কেন এলেন?

নাবিল: ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম ম্যাচ চলছিল। আমাদের যতটুকু প্রত্যাশা ছিল তার চেয়ে বেশি ভালো ব্যাটিং করেছে ভারত। বাংলাদেশ হেরে যাওয়ার পর অনেক খারাপ লেগেছিল তখন। কান্না করেছিলাম। বাংলাদেশের হারের পর মনে হয়েছিল, ক্রিকেট আমার আবেগের জায়গা। যদি খেলতাম জেতাতে পারতাম। এগুলো আমার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে আসলে উনিই ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলা ট্রিবিউন: সেটা কীভাবে?

প্রান্তিক: রাজীব আল মামুন, আমার মামাতো ভাই। উনি আমার মেন্টর, গাইড- সবকিছু। আমার জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব রেখেছেন উনি। ক্রিকেটের প্রতি তারও আবেগ ছিল। উনি বাসায় বলেছিলেন বিকেএসপিতে ভর্তি হতে চান। কিন্তু তার পরিবার ভর্তি হতে দেয়নি। তখন অবশ্য আমাদের ক্রিকেটও এতটা প্রতিষ্ঠিত ছিল না। তাকে ক্যাডেটে ভর্তি করানো হয়। অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। নিজের স্বপ্ন পূরণ না হলেও আমার স্বপ্ন পূরণ করতে ভূমিকা রেখেছেন অনেক। ২০১১ সালে উনি আমাকে খুলনা মোহামেডান ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন।

বাংলা ট্রিবিউন: গত দুই বছরে নাবিলের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন কী হয়েছে?

নাবিল: যুব বিশ্বকাপ খেলাটা ছিল ভিন্ন গল্প, ভিন্ন মুহূর্ত। বিশ্বকাপ থেকে আসার পর করোনার কারণে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। করোনার প্রভাব কাটিয়ে মাঠে ফিরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে যোগ দিতেই আমার অ্যাজমা অ্যাটাক হয়। কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পরে আবার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ক্যাম্প কিছুদিন বন্ধ থাকে। আফগানিস্তান সিরিজের আগে বাসায় বসে থাকতে থাকতে কেন যেন মনে হলো, নিজের মধ্যে আরও পরিবর্তন আনা দরকার। তখন চিন্তা করলাম, নিজেকে আসলে কোথায় দেখতে চাই। চিন্তা করলাম সর্বোচ্চ ট্রেনিং সুবিধা কোথায় পেতে পারি।

বাংলা ট্রিবিউন: সেই চিন্তা থেকেই মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন?

নাবিল: হ্যাঁ। চিন্তা করলাম কীভাবে আমার অনুশীলন পারফেক্ট করা যায়। তখন ভাবলাম ভেতরে রুম ভাড়া নেই, তাহলে আমার বাউন্ডারির বাইরে যেতে হচ্ছে না। নিরাপদও থাকতে পারবো, অনুশীলন সুবিধাটাও পাবো। আমার কাছে দুটি অপশন ছিল। এক, আমি ওদের (মাস্কো-সাকিব অ্যাকাডেমি) ওখানে ভর্তি হবো। শুধু ভর্তি হলে মাসে আমার ১০ হাজার টাকা যেতো। আরেকটা অপশন ছিল, ওদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া। আমি দ্বিতীয় অপশনটি বেছে নেই। আমার লক্ষ্য ছিল, নিজের মতো করে অনুশীলন করা।

বাংলা ট্রিবিউন: অনুশীলনের সময়টা কেমন ছিল?

নাবিল: ৩০ দিনে দুটি সেশন করেছি। প্রথম সেশন করে আমি বিশ্রাম নেই পরবর্তী ক্যাম্পের জন্য। পরে আবার দ্বিতীয় সেশন করি। প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত রমজানে আমার সিডিউলটা এমন ছিল- ইফতার করে রাত ৯টায় ব্যাটিং শুরু করতাম, সাড়ে ১২টার দিকে শেষ করতাম। এরপর ওখান থেকে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, সেহরি করে ঘুমাতাম। মাঝে মাঝে সকালেও ব্যাটিং করতাম। এত টাকা, এই পেমেন্টটা আসলে করেছি বাড়তি কিছু পাওয়ার আশায়।

সেন্ট্রাল উইকেট, ইনডোর, সাইড উইকেট, দিন-রাতের সুবিধাসহ সবকিছুই নিয়েছি। আমার এখনও মনে পড়ে যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি। ওখানে সালাউদ্দিন স্যার ছিলেন, জিকো স্যার ছিলেন, আরও অনেকে।

বাংলা ট্রিবিউন: ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন আপনি। সেই গল্পটা শুনতে চাই।

নাবিল: সালাউদ্দিন স্যারের কাছে গিয়ে বললাম, আমি ব্যাট সুইং পরিবর্তন করতে চাই। এটা নিয়ে কাজ করলাম। এরপর এইচপির সঙ্গে খেললাম, তিন ইনিংসে করলাম দেড়শ রান। তারপর আফগানিস্তানের সঙ্গে পুরোপুরি প্রত্যাশামতো খেলতে পারিনি। তিনটা ম্যাচ পর আমার আঙুলে লাগে, পরে বাকি দুটি ম্যাচ খেলতে পারিনি। টেস্টে গিয়ে ৭৫। এরপর শ্রীলঙ্কাতে ভালো করতে না পারায় এই পরিবর্তনের উদ্যোগটা নিয়েছিলাম। আমি এক ধরনের খেলোয়াড় ছিলাম, যাকে আমি চিনতাম। ধরেন আমি ১২০ বলে ১০০ মারতাম কিংবা ১৩০ বলে ১০০ মারতাম। কিন্তু যখন ব্যাটিংয়ে সুইং পরিবর্তন করলাম, তখন আসলে আমি সাধারণত যে বলগুলো সিঙ্গেল নিতাম, এগুলো নিয়ে এত ট্রেনিং করেছি...। একজন ব্যাটার রাতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ব্যাটিং করছে। প্রতিদিন আমি ১২০০ থেকে ১৫০০ বল ব্যাটিং করেছি, এটা কিন্তু কোনও মজা নয়। এমনও হয়েছে ব্যাটিং শেষে হাত নাড়াতে পারতাম না।

বাংলা ট্রিবিউন: সাফল্য পেতে আর কোথাও বদল এনেছেন?

নাবিল: শ্রীলঙ্কায় খারাপ সময় যাওয়ার সময় ইতিবাচকভাবে চিন্তা করেছি। ওই সফর থেকে ফিরে রুটিন পরিবর্তন করি। তখন রাত ১০টায় ঘুমানো শুরু করি, সকাল ৫টায় ওঠার চেষ্টা করি। আমার কিছু পড়ার অভ্যাস ছিল, ওখান থেকে এই চিন্তাটা পেয়েছি। আমার চিন্তা ছিল, দিন কিছুটা আগে থেকে শুরু করবো। এরপর থেকে ১৮ থেকে ১০০ কিলোমিটার দৌড়েছি। একটা লক্ষ্য ছিল, কীভাবে সামনের সিরজে ভালো করতে পারি। ১০০ কিলোমিটার দৌড়ানোর পর মাথায় ছিল, এত কিলো দৌড়ানোর পর অন্তত প্রতি কিলোর জন্য হলেও ১ রান করা উচিত।

বাংলা ট্রিবিউন: কতটা সফল হয়েছেন বলে মনে করছেন?

নাবিল: এক ক্রিকেটারের সঙ্গে আরেক ক্রিকেটারের খেলার পার্থক্য অতটা বেশি না। মানসিকতাই আসলে পার্থক্য গড়ে দেয়। যখন অনূর্ধ্ব-১৪ খেলেছি, প্রতিযোগিতা যেটা ছিল, সেটা থেকে এখানকার অবস্থা অন্যরকম।কিন্তু ব্যাট আর বলের প্রতিযোগিতা কিন্তু একই ছিল। এরপর আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৮ কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯-এ গিয়েছি, পরিবর্তন হয়েছে। যখন ভারতে গেলাম। খুলনা থেকে আমার একটা প্রশ্ন মনে আসলো, ‘আমি আসলে কে?’ ভারতের অনুশীলন ম্যাচে করলাম ৩২ বলে ৩৪। চার-পাঁচটির মতো বাউন্ডারি মেরেছি। আগে খেলা হলে ওইগুলো ১ রান হতো, কিন্তু সেদিন ৪ রান হয়েছে। আমি দুটো জিনিস চিন্তা করেছি, ‘এক ভয় পাবো, খারাপ খেললে কী হবে?’ অথবা ‘চিন্তা করবো, আমার সামনে বিশ্বকাপ আছে, যদি ভারতে ভালো খেলি, বিশ্বকাপের আগে ভালো আত্মবিশ্বাস পাবো।’

কিছুদিন পর পার্সোনাল ডেভলপমেন্ট বই পড়া বাড়িয়ে দিলাম। আমার ঠিক করা ছিল, ঘুমাবো রাত ১০টা থেকে ৫টা। চিন্তা করালাম অফ ডেতে রুটিন মানবো না। যখন খেলার মধ্যে থাকবো, তখন হবে ৯টা থেকে ৪টা। একঘণ্টা আগে ঘুমালে একঘণ্টা আগে উঠতে পারবো। ম্যাচ ডেতে ৪টায় ওঠার কারণে অনেক সময় পাওয়া যায়। যখন থেকে ৪টায় ওঠা শুরু করলাম। আমার নরমাল ডে রুটিন সহজ হয়ে গেলো। তখন আমার ম্যাচ ডে আর অনুশীলন ডে’র রুটিনে কোনও পার্থক্য থাকলো না। ইভেন ম্যাচ ডেতে আমি অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া শুরু করলাম। এগুলোতে ফোকাস করে ভারত সিরিজটা অনেক ভালো গেছে।  এতকিছুর করার পরও আমি বলবো, এখনও অনেক কিছু শিখছি। প্রতিনিয়ত শিখছি।

বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতখানি দেখছেন?

নাবিল: ‍দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমার যে ফোকাস, একটা একটা ম্যাচ করে এগোবো। জানি না ভালো খেলবো কিনা। আজকে রাতে এই চিন্তা করাটাও নিজেকে চাপ দেওয়া। কালকে আমি ভালো খেলবো কিনা এটা আমার কন্ট্রোলে নেই। আমার নিয়ন্ত্রণে আছে কেবলমাত্র আমি আমার সহজাত খেলাটা খেলার। প্রসেস ঠিক আছে কিনা সেটাই চিন্তা করা।

বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বকাপ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা?

নাবিল: প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকা দরকার। আমি যদি একটা কমিটমেন্ট দেই, সেটা রক্ষা করতে চাইবো। নিজেকে অন্য কোথায় নিতে চাইলে আমাকে ভিন্নধর্মী কিছু করতেই হবে। দিনশেষে ক্রিকেটেই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্যাশনের জায়গা। জীবনে একটা কাপড়ও ভাঁজ করিনি, সেখানে বিকেএসপিতে গিয়ে অনেক অনেক পরিশ্রম করেছি। ওখান থেকে শিক্ষা নিয়েছি। খারাপ দিনে আমিও আমার। আবার ভালো দিনেও আমি আমার। আমি চিন্তা করেছি একেবারেই সিম্পল প্লানে এগিয়ে যাবো।

বাংলা ট্রিবিউন: তবু তো পুরনো ক্রিকেটার হিসেবে আপনার কাছে প্রত্যাশা থাকতেই পারে...

নাবিল: মানুষজন আমার কাছে প্রত্যাশা রাখছে। প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই বলেই আমাকে সেফ রাখতে চাইছি। এটা না যে ওদের প্রত্যাশাকে ভ্যালু দেই না বা চিন্তা করি না। আমি যদি তাদের প্রত্যাশা নিয়ে চিন্তা করতে যাই, তাহলে অবশ্যই এটা নিয়ে প্যারা নেওয়া যাবে না। মানসিকতা যদি ভালো রাখতে হয়, তাহলে সিম্পল চিন্তা করার বিকল্প নেই।

বাংলা ট্রিবিউন: দলের প্রস্তুতি কেমন মনে হচ্ছে?

নাবিল: এই দলটা বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। করোনার কারণে আমরা খুব বেশি ক্যাম্প করতে পারিনি। খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। আমরা যারা কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলাম, তারাও পারফরম্যান্স করতে পারছিলাম না। এই কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজে গিয়ে ভালো করতে পারিনি। কিছুটা সমস্যা এই কারণে রয়ে গেছে। তবু আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে দল। শ্রীলঙ্কায় পাঁচ ম্যাচ হেরেছি। এর মধ্যে চারটা ম্যাচ ছিল আমাদের হাতের ম্যাচ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ২ রানে ও ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে ৫ রানে হেরেছিলাম। কিছু কিছু হার আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। এবার হেরেছি, হয়তো দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছে।

বাংলা ট্রিবিউন: শুরুতে পরিবার থেকে সমর্থন পাননি। এখন কী বলে?

নাবিল: পড়াশোনা যখন যা করেছি, ভালোই করতাম। আমাদের দেশের মা-বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে খুব সচেতন। ভালো ফল করে, ভালো চাকরি করতে হবে। আজ থেকে দুই বছর আগে যদি বলতাম, এইচএসসি পরীক্ষা দোবো না, আমি খেলবো। ৯৯ ভাগ বাবা-মা এটা মানতো না। কিন্তু এবার আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। অন্যদিকে আমার সামনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ। এখন যদি বলতাম আমি এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপ না খেলে পরীক্ষা দেবো, কেউই সেটা মানতো না। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এশিয়া কাপ খেলাটা জরুরি ছিল। মিস করলেই ধারা-ছন্দ থেকে বেরিয়ে যেতাম। এখন আমার চিন্তা হচ্ছে, দেশ আগে। পরীক্ষা না হয় আগামী বছর দেবো। বাবা-মা-ও সেভাবেই চিন্তা করেছে।

প্রোফাইল

নাম: মোহাম্মদ প্রান্তিক নওরোজ নাবিল

ডাক নাম: নাবিল

জন্ম: ১৩ নভেম্বর, ২০০৩

জন্মস্থান: খুলনা

উচ্চতা: ৫ ফুট সাড়ে ৭ ইঞ্চি

পড়াশোনা: এইচএসসি পরীক্ষার্থী

প্রথম ক্লাব: মোহামেডান ক্রিকেট একাডেমি

বর্তমান ক্লাব: রূপগঞ্জ টাইগার্স 

ব্যাটিং স্টাইল: বাঁহাতি

প্রিয় শটস: স্কয়ার কাট 

প্রিয় মানুষ: অনিক আল মামুন

প্রিয় ক্রিকেটার: মুশফিকুর রহিম

ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত: ২০১৯ সালে যুব এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৮ রান। দল হিসেবে যুব বিশ্বকাপ জয়।