ভারতের টেস্টের নেতৃত্বও ছাড়লেন কোহলি

টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়েছিলেন। তারই রেশ ধরে ওয়ানডের নেতৃত্ব হারান বিরাট কোহলি। বাকি থাকা টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ হারের পর এবার লাল বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ালেন কোহলি।

গতকাল (শুক্রবার) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারত। আর আজ (শনিবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোহলি। ২০১৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর অস্থায়ী দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি।

কোহলির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে (বিসিসিআই) চলমান অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিলো। কোহলির সঙ্গে এমনিতেই বোর্ডের একটা টানাপোড়েন চলছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিনি জানান, বিশ্বকাপ শেষে এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়বেন। এরপর বিসিসিআই ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয় সাদা বলে এক অধিনায়ক রাখার কারণ দেখিয়ে। আর এখন বাকি থাকা টেস্ট ফরম্যাট থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার।

টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কোহলির টুইট, ‘গত সাত বছর প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেছি, নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যবসায় রেখেছি দলকে সঠিক পথে রাখতে। পূর্ণ সততার সঙ্গে আমি আমার কাজ করেছি এবং সেখানে কোনও ফাঁক রাখিনি। প্রত্যেক জিনিসের একটা সময়ে এসে থামতে হয়। আমার ক্ষেত্রে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শেষ করার এটাই সঠিক সময়।’

পরের অংশে লিখেছেন, ‘এই পথচলায় অনেক ওঠা-নামা আছে, তবে প্রচেষ্টা কিংবা বিশ্বাসের কোনও ঘাটতি ছিল না। আমি যা করেছি, তাতে আমার ১২০ শতাংশ বিশ্বাস ছিল। আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়নি, আমি সেটা করিনি।’ একই সঙ্গে সবাইকে ধন্যাবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার।

টেস্টের চতুর্থ সফল অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্বের ইতি টানলেন কোহলি। তার নেতৃত্বে ৬৮ ম্যাচে ভারত জিতেছে ৪০টিতে। তবে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক তিনিই। ধোনি (৬০ ম্যাচে ২৭ জয়) ও সৌরভ গাঙ্গুলীর (৪৯ ম্যাচে ২১ জয়) সঙ্গে তার ব্যবধান অনেক।