বিসিবির প্রস্তাবে তামিমের না

২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তামিম। এরপর বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড  ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেললেও তামিম কোনও সিরিজ খেলেননি। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নেন এই ওপেনার। তামিমের এমন সিদ্ধান্তের পর বোঝাই যাচ্ছিল, এই ফরম্যাটে খেলতে আগ্রহী নন এই ওপেনার। তারপরও তামিম বিষয়টি পরিষ্কার না করায় সংশয় ছিলই। শনিবার বোর্ড সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেলো, তামিম আর কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে খেলবেন না!

দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকা তামিম ফিরেছিলের বিসিএল ওয়ানডে দিয়ে। দুই ম্যাচ খেলে রান পাননি। তবে বিপিএল ঢাকার জার্সিতে মাঠে নেমেই দুই ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তামিমের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক। ম্যাচ শেষে বোর্ড সভাপতির কাছে তাই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তামিমকে নিয়ে ভাবনাটা কী?

তামিম নাকি বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছেন বোর্ড সভাপতিকে, তাকে যেন টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য অনুরোধ করা না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ওর (তামিম) সাথে আমি কথা বলেছি। ওকে বলেছিলামও, তুমি আবার টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসো। এটা ছাড়বে কেন? তুমি আমাদের সেরা ওপেনার। অবশ্যই তোমার থাকা উচিৎ। টেলিফোনে কথা হয়েছিল। ও (তামিম) আমাকে একটা কথা বলেছে- আপনি আমাকে জোর করবেন না। আপনি বললে তো আমাকে আসতেই হবে। কিন্তু আমি আসলে এই ফরম্যাটে খেলতে চাই না।

বোর্ড সভাপতি আরও যোগ করে বলেছেন, এটা বলার পর আমার মনে হয়েছে ওকে আর কিছু বলা উচিৎ না। কেউ যদি খেলতেই না চায়, তাকে জোর করে একটা ফরম্যাটে খেলানো ঠিক না।

বিপিএলে তামিমের ইনিংসের প্রশংসা করে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘তামিম ভালো খেলেছে। ও তো সবসময়ই ভালো খেলে। ইনিংস আরও বড় করা উচিৎ। ফিফটি হয়ে গেলেই মারমুখো হয়ে আউট হচ্ছে। ইনিংস আরও বড় করা উচিৎ, কারণ ও সত্যিই অনেক ভালো খেলছে।’