দারুণভাবে ফিরলেন মাশরাফি

সময়ের হিসাবে পাক্কা ৪০২ দিন কেটে গেছে। এতদিন কোনও ম্যাচই খেলেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কাপে। বয়স নিয়ে অনেক আলোচনা থাকলেও মঙ্গলবার বিপিএলে সাবেক অধিনায়ক দেখিয়ে দিলেন, মাশরাফি এখনও ফুরিয়ে যায়নি। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেই করেছেন বাজিমাত। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা হেরে গেলেও তার দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তিনি। ৪ ওভারের বোলিংয়ে ২১ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর খেলা হয়নি মাশরাফির। মাঝে বঙ্গবন্ধু কাপে কিছু ম্যাচ খেলার পর লম্বা বিরতিতে ছিলেন। এবার অবশ্য শুরু থেকেই ঢাকার জার্সিতে তার মাঠে নামার কথা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে পাওয়া ইনজুরি এবং ম্যাচ ফিটনেস না থাকায় শুরুর তিন ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। তবে মঙ্গলবার মাঠে নামতেই ছন্দে দেখা গেলো মাশরাফিকে। নতুন বলে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বোলিং করেছেন। প্রথম ওভারের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে। দুর্ভাগ্য যে ওই ওভারে থার্ডম্যান দিয়ে একটি বাউন্ডারি হজম করতে হয়েছে। প্রথম ওভারে সব মিলিয়ে খরচ করেছেন সাত রান। দ্বিতীয় ওভারে অবশেষে সাফল্যের দেখা পান। ২ রান দিয়ে তুলে নেন সিমন্সের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলটিতে লংঅনে তুলে মারতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সিমন্স (১৬)। তৃতীয় ওভারে অবশ্য ৭ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি মাশরাফি। 

টানা তিন ওভার বোলিংয়ের পর মাশরাফি বিরতি নিয়েছিলেন কিছুক্ষণ। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এলে তিন রান দিয়ে তুলে নেন এনামুল হকের উইকেট। সিলেটের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এনামুলকে মিডউইকেটে তামিমের ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় মাশরাফির শিকার ছিল দুই উইকেট। 
 
মাশরাফির এমন নৈপুণ্য অপ্রত্যাশিত ছিল না। বিপিএল খেলতে ওজন কমিয়েছেন প্রায় ১০ কেজির মতো। বেশ কিছু দিন নিয়মিত অনুশীলনও করেছেন। ইনজুরির কারণে ফেরাটা বিলম্বিত হলেও বিপিএলের প্রথম দিনটা নিজের করে নিতে পেরেছেন। 

মাশরাফির প্রত্যাবর্তন ম্যাচ নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণা। মাঠে ফিরতে ফিটনেস এবং বোলিং স্কিল নিয়ে মাশরাফি ভাই কঠোর পরিশ্রম করছিলেন। মাঠে ফিরেছেন এক বছরেরও বেশি সময় পর। দুটি উইকেটও পেয়েছেন।’