তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ টেলর

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলরকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসির দুর্নীতি দমনের চারটি আলাদা ধারা ও আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করায় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। আইসিসি একটি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিষেধাজ্ঞার বক্তব্যে আইসিসি লিখেছে, ‘জিম্বাবুয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের চারটি এবং আলাদাভাবে আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি অভিযোগ লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করায় সাড়ে তিন বছরের জন্য সমস্ত ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন।’

গত ২৪ জানুয়ারি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে চার পৃষ্ঠার দীর্ঘ বিবৃতি দেন টেলর। এতে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব ও তা লুকানোর পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি। ঘটনাটি ছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরের। ভারতের একজন ব্যবসায়ী নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কথা বলে তাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান। সেজন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারের প্রলোভন দেখানো হয় তাকে।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডে তুমুল আর্থিক সংকট চলাকালীন ঘটনা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আসে। টেলররাও বেতন পাচ্ছিলেন না অনেকদিন। সেই সময়ের কথা জানাতে টুইটারে বিশাল বিবৃতিতে টেলর বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ী ও তার সহকর্মীরা আমাকে নৈশভোজে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা পান করছিলাম। তারা আমাকে কোকেন সেবনেরও প্রস্তাব দেয়। আমি বোকার মতো কোকেন সেবনে তাদের সঙ্গে যোগ দেই।’

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় টেলরকে বলা হয়, ১৫ হাজার ডলার তার কাছে ডিপোজিট হিসেবে থাকবে। পরে কাজ করে দিলে আরও ২০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। টেলরের দাবি, শুধু নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই অর্থ নিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘আমাকে ১৫ হাজার ডলার দেওয়া হয়। বলা হয়, স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য এই অর্থটা ডিপোজিট। পরে কাজ করে দিলে আরও ২০ হাজার ডলার পাবো। তখন অর্থটা নিয়েছি যাতে নিরাপদে ভারত ছাড়তে পারি। তখন মনে হয়েছে, না বলে ফেলা এখানকার জন্য কোনও বিকল্প নয়। শুধু মাথায় ছিল– আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে।’