বিপিএলে মেহেদী হাসান মিরাজ ইস্যুতে টালমাটাল ছিল চট্টগ্রাম। অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ায় দল ছেড়ে ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিলেন। মিরাজের দাবি ছিল, ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগে অধিনায়কত্ব হারানোতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শুনানিতে মিরাজের দাবির পুরো সত্যতা পাওয়া যায়নি। শুনানি শেষে জানা গেছে, তিন ঘণ্টার অনেক আগেই বিষয়টি জানানো হয়েছিল মিরাজকে!
শুনানিতে দুই পক্ষের কথাই শুনেছে বিসিবি। তাতে মূল যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটি হলো ভুল বোঝাবুঝি। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেছে বিসিবি।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মধ্যকার ম্যাচ শেষে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কর্ণধার কেএম রিফাতুজ্জামান, চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ।
শুনানির বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর বোর্ড সন্তুষ্ট। এটি পুরোপুরি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল, যার সমাধান হয়ে গেছে। মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তারা ম্যাচের বেশ আগেই মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল।’
পাশাপাশি জনসম্মুখে অভ্যন্তরীণ ঘটনাটি নিয়ে অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া দেখানোয় ক্ষমাও চেয়েছেন তারা। তাতে যে বিসিবি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে, সেই বিষয়টিও তারা স্বীকার করেছেন। তাই বোর্ড খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের বিপিএলের প্রতি তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে। বিসিবি মনে করিয়ে দিয়েছে শৃঙ্খলা ও সততার বিষয়ে বিসিবি বরাবর জিরো টলারেন্স দেখাবে।