নো-বল বিতর্ক: পান্তের জরিমানা, আমরে নিষিদ্ধ

উত্তেজনায় ঠাসা বলতে যা বোঝায়, দিল্লি ক্যাপিটালস-রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ ছিল তাই। আর সবশেষে নো-বল ‍বিতর্ক ‘সংযুক্ত’ হওয়ায় আরও যেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। অনেক ঘটনার ম্যাচটির আলোচনা এখনও শেষ হচ্ছে না। আইপিএলের কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙায় শাস্তি পেয়েছেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ও সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে।

আম্পায়ার নো-বল না দেওয়ায় আপত্তি জানিয়ে ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা গুনতে হয়েছে পান্তকে। আমরের শতভাগ ম্যাচ ফি তো গেছেই, সঙ্গে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। তাদের সঙ্গে দিল্লি পেসার শার্দূল ঠাকুরের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গেছে।

শুক্রবার আইপিএল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান-দিল্লি। রাজস্থানের ২২২ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন দিল্লি ব্যাটার রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু তৃতীয় বলে শুরু হয় বিতর্ক। তিনি ছক্কা হাঁকালেও ওবেড ম্যাককয়ের ডেলিভারি ছিল কোমর সোজা ফুলটস। দিল্লির দাবি ডেলিভারিটি নো-বল ছিল। কিন্তু আম্পায়ার ছক্কার সংকেত দিলেও ‘নো’ ডাকেননি। ওই অবস্থায় নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচে।

ক্রিজে থাকা পাওয়েল ও কুলদীপ যাদব অন-ফিল্ড আম্পায়ারকে প্রশ্ন করেন, কেন নো-বল ডাকা হলো না। ওদিকে দিল্লির ডাগ আউটে তখন উত্তেজনা তুঙ্গে। অধিনায়ক পান্ত বারবার নো-বলের ইশারা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার দুই ব্যাটারকে মাঠ থেকে উঠে আসার সংকেতও দেন!

এখানেই শেষ নয়, পান্ত সহকারী কোচ আমরেকে মাঠে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমরে মাঠে প্রবেশ করে কথা বলেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। একই সঙ্গে দিল্লির আরেক সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন পান্তকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। যদিও শান্ত করা যাচ্ছিল না এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে।

এমন আচরণে পান্ত আইপিএলের কোড অব কন্ডাক্টের ২.৭ ধারা ভঙ্গ করেছেন। অন্যদিকে সহকারী কোচ আমরে ভেঙেছেন ২.২ ধারা। তারই শাস্তি পেয়েছেন জরিমানা ও নিষিদ্ধ হয়ে।