চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে সাকিব

করোনামুক্ত হয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যাত্রা করেন তিনি। তাকে বহন করা বিমান চট্টগ্রামে পৌঁছে রাত ৮টার কিছু পর।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে রবিবার। সাকিবের চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা নির্ভর করছে তার ফিটনেস টেস্টের ওপর। যদিও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো স্পষ্ট জানিয়েছেন, শতভাগ ফিট হলেই কেবল খেলবেন সাকিব। অন্যদিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সাকিব খেলতে চাইলে তাদের কোনও আপত্তি থাকবে না।

ঈদের ছুটির পর বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রস্তুতি শুরু করলেও সাকিব ছিলেন অনুপস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় এই অলরাউন্ডার বাড়তি দুই দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। সেই ছুটি শেষ করে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী করানো হয় তার করোনা পরীক্ষা। সেখানেই পজিটিভ ফল আসে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। এরপর ৫ দিনের আইসোলেশনে চলে যেতে হয় সাকিবকে। কিন্তু তিন দিন পর করোনামুক্ত হয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন তিনি।

যদিও তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকা এই তারকার খেলার সুযোগ সামান্য। এ প্রসঙ্গে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই তার ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে। কোভিড থেকে সেরে উঠেছে মাত্র এবং খুব বেশি ক্রিকেট কিন্তু খেলেনি। ও অবশ্যই আমাদের জন্য বড় খেলোয়াড় যে দলের ভারসাম্য নিয়ে আসে। তাকে আগামীকাল (শনিবার) আমরা দেখবো। দুই তিন-সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গেছে ও (সাকিব) ব্যাটিং বা বোলিং কিছু করেনি। হঠাৎ করে এসে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলা কঠিন এবং পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু চিন্তা করতে হবে।’

এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘হয়তো সে খেলতে পারে আবার নাও খেলতে পারে, মানে এটা আসলে বলাটা মুশকিল। ওর ওপর নির্ভর করছে, টিমের ওপর নির্ভর করছে এবং মেডিক্যাল টিমের ওপর নির্ভর করছে। ওর ওপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। ও (সাকিব) যদি খেলতে চায়, তাহলে ও খেলবে, ওকে তো না করার কোনও সুযোগ নেই।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন সাকিব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে চারটি ম্যাচ খেলার পর ব্যক্তিগত কিছু কাজ শেষে ফের যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে অংশ নিতে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।