আগের সরকারের পতনের পর থেকে সাকিব আল হাসান দেশে ফেরেননি। বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। আসন্ন গ্লোবাল সুপার লিগে তাকে নেওয়ার আগ্রহ দেখায় বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্স। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই অলরাউন্ডারকে শেষ পর্যন্ত স্কোয়াডে রাখেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সাকিবকে দলে না নেওয়ার ব্যাপারে রবিবার রংপুর টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান এখনও অন্যতম মূল্যবান ক্রিকেটার, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। এমন নয় যে আমরা তাকে দলে নিতে চাইনি। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি কী, আমরা তা জানি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তাকে স্কোয়াডে রাখতে পারিনি।’
আগের সরকারের সাংসদ ছিলেন সাকিব। সরকার পতনের পর থেকে দেশে ফেরেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তার খেলার কথা থাকলেও ছাত্রজনতার বিরোধিতার মুখে ফিরতে পারেননি।
শানিয়ান আরও বললেন, ‘সাকিব আল হাসানকে একসঙ্গে ব্যাটার, স্পিনার ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে পাওয়া যায়। তার উপস্থিতি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের একাদশে থাকার মতো তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে তার দক্ষতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। চেক প্রতারণার এক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। সাকিবকে দলে নিতে কোনও মহলের নির্দেশনা ছিল কিনা এই প্রশ্নে শানিয়ান জানান, সাকিবকে দলে না নেওয়া পুরোপুরি ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়ে কারও কাছ থেকে কোনও নির্দেশ পাইনি। সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের। সাকিবকে নেওয়ার পর কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতো, সেটা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না।’
শানিয়ানের শেষ কথা, ‘আমরা সাকিব আল হাসানকে কেবল একজন ক্রিকেটার হিসেবেই দেখি, তার অন্যান্য পরিচয়ের দিকে তাকাই না। আমার বিশ্বাস, সাকিব নিজেও বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন।’
