তৃতীয় সেশনে মাঠে নামেননি তামিম

তৃতীয় দিন তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। এমন কন্ডিশনের প্রভাব পড়েছে তার শরীরে। দ্বিতীয় সেশনে ক্র্যাম্প করার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায় তামিমকে। তাই চায়ের বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে নামেননি তিনি। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় তার জায়গায় প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমেছেন লিটন দাস।

তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে যেখানে বিনা উইকেটে স্কোর ছিল ১৫৭, সেখানে দ্বিতীয় সেশনে ১৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিছুটা চাপে পড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে স্বাগতিকদের উদ্ধারে অবদান রাখে মুশফিক-তামিমের অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটি।  

৭৭ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২২৯ রান। ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম (২০) ও লিটন দাস (৩)।

শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর এক কথায় আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান। তাদের দৃঢ়তায় প্রথম সেশনে লঙ্কানদের চেয়ে রান তোলার গতিও ছিল বেশি। দ্বিতীয় সেশনে তাতে কিছুটা শৃঙ্খল পরাতে পেরেছেন লঙ্কান বোলিং। 

লাঞ্চব্রেক থেকে ফিরেই দৃশ্যপটে চলে আসে সফরকারী দল। ৫৮ রান করা মাহমুদুলকে গ্লাভসবন্দি করেছেন আসিথা ফার্নান্ডো। তাতে ভেঙে যায় ১৬২ রানের মহাকাব্যিক জুটি। শত রান ছাড়ানো এই জুটিটি দেখা গেছে ৬১ ইনিংস পর।

ওপেনিং জুটি ভাঙলেও তামিমকে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা যায়নি। যদিও অপর প্রান্তে নতুন নামা ব্যাটারদের যোগ্য সমর্থন পাননি তিনি। নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত নেমে ২২ বল খেলতে পেরেছেন। কনকাশন সাব হিসেবে নামা রাজিথার বলে খোঁচা মারতে গিয়ে কিপারের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন বাজে শটে।

তার পর পর তামিমও আম্পায়ারের ভুলে ক্যাচ আউট হয়েছিলেন। বল ব্যাটে লেগে গ্লাভসে জমা পড়েছে ভেবে আউট দিলে বাঁহাতি ব্যাটার রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গে। সেখানে স্বস্তির খবরই পান তামিম। দেখা গেছে বল ব্যাটেই লাগেনি।    

অধিনায়ক মুমিনুল হকের উইকেটটিও নেন এই রাজিথা। ভেতরে ঢুকে পড়া এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন তাকে। অবশ্য এই আউটে মুমিনুলের দায়ও আছে। অলসভাবে ডিফেন্স করার খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।

অবশ্য তিন বছর পর সেঞ্চুরি পাওয়া তামিমও ফিরে যেতে পারতেন ৬১.৩ ওভারে। রামেশ মেন্ডিসের বলে তার ক্যাচ উঠলেও স্লিপে সেটি ধরতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। ক্যাচটি ধরতে পারলে আরও বিপদে পড়ে যেত স্বাগতিক দল। এ নিয়ে দুবার স্লিপে জীবন পেলেন তামিম।