অবশেষে টেস্ট দলে মোস্তাফিজ

মোস্তাফিজুর রহমানের টেস্ট খেলা নিয়ে আলোচনা সাম্প্রতিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে তার থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। যেহেতু অনেক দিন ধরেই লাল বলের ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত নন। কিন্তু ইনজুরির তালিকা লম্বা হওয়া এবার তার দলে থাকার বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয় সফরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার নাম। বিসিবি আজ সফরের পূর্ণাঙ্গ দল দিয়েছে। 

আগামী ৫ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সফরে দুটি টেস্ট ছাড়াও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সফরের ১৬ সদস্যের টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার। 

মোস্তাফিজ ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর করোনার সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে টেস্ট খেলতে চাইছিলেন না। এখন আপত্তি করছিলেন ‘ওয়ার্কলোডের কারণে’।

২০১৫ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় বামহাতি পেসারের। অথচ গত ৭ বছরে খেলেছেন মাত্র ১৪ টেস্ট। মোস্তাফিজের এমন সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকেরই পছন্দ ছিল না।  বিশেষ করে, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের ইনজুরিতে তাকে চাইছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের চাওয়াতেই মূলত দলে ফিরেছেন তিনি।

গত ৭ মে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন রাগ উগড়ে দিয়েছিলেন। তার মতে, মোস্তাফিজ কী খেলবেন, কী খেলবেন না, সেটি নিয়ন্ত্রণ করবে বোর্ড, ‘মোস্তাফিজ কেন খেলতে চায় না, আমি জানি না। এটা বোর্ডই নির্ধারণ করবে, কাকে কোথায় খেলতে হবে। আপনি কি অফিসে বলতে পারেন- আমি এই কাজ করবো না, ওই কাজ করবো? আপনি এখানে কর্মী, আপনি কীভাবে বেছে নেবেন? সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) বলেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। সাকিব-তামিমদের বয়স ৩৪-৩৫। তাদের এখন বিরতি প্রয়োজন, তারা এটার যোগ্য। মোস্তাফিজের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিত।’

এরপর কোচরা মোস্তাফিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। বাঁহাতি পেসারের সিদ্ধান্তকে ‘ব্যক্তিগত পছন্দ’ হিসেবেই দেখেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, ‘আমি মোস্তাফিজের অনেক বড় ভক্ত। সাদা বলে সে দারুণ এক বোলার। আমার রোমাঞ্চিত হওয়ার একটা কারণ হলো, এখনকার ছেলেরা সঠিক প্রশ্নটা করে, তারা শিখতে চায়। সাদা বলের কথায় যদি আসি, সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই আমাদের আবার একটু লাগাম টানতে হবে। ওয়ার্কলোড নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ছেলেরা ওয়ার্কলোড ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে।’

এইসব আলোচনার পরই মোস্তাফিজ জানিয়েছিলেন, টেস্ট খেলতে তার আপত্তি নেই। শেষ পর্যন্ত তাসকিন-শরিফুলদের অবর্তমানে মোস্তাফিজ যে ফিরেছেন; সেটাই স্বস্তির খবর।