একজন আউট হলেই ধস, মানতে পারছেন না সিডন্স

একজন ব্যাটার আউট হতেই দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের পুরনো সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা করলেও সেইসব ভেস্তে গেছে। ঢাকা টেস্টেও এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ব্যাটাররা। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। এভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়াটা সহজভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।

আজ (বুধবার) ম্যাচের তৃতীয় দিনে ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে আলাপকালে সিডন্স বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের এখনও একসঙ্গে উইকেট হারানোর প্রবণতা রয়ে গেছে। এই দিকটায় কোনও বদল আসেনি। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না।’

যদিও এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ‘এই ম্যাচেই যেমন অল্প রানে ৫ উইকেট গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এমন হয়েছে। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। আমার মনে হয় না এটা থেকে বেশি দূরে আছি। কিছু কৌশলগত ও মানসিক পরিবর্তন আনলেই আমরা দ্রুত পরিবর্তন দেখতে পাবো। তবে এখন লম্বা সময় ব্যাট করার সামর্থ্যটা দুর্দান্ত। মুশফিক, লিটন, প্রথম টেস্টে তামিম; এগুলো তখন (২০১১ সালে) খুব একটা দেখা যেত না। তো এই পরিবর্তনটা এসেছে।’

মিরপুরে দ্বিতীয় দিনে পেসাররা নখদন্তহীন বোলিং করলেও সিডন্স পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘সত্যি বলতে পারফরম্যান্স ও আচরণের দিক থেকে খুব বেশি পরিবর্তন দেখিনি। সিনিয়ররা এখনও সেরা খেলোয়াড়, লিটনকে বাদ দিলে হয়তো; সে-ও এখন সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়ার পথে। সবচেয়ে বড় বদলটা এসেছে পেস বোলারদের দিক থেকে। বাংলাদেশের এখন দুর্দান্ত কিছু পেসার আছে। এটা বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলবে।’

ঢাকা টেস্টে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন মুশফিক-লিটন। ২৭২ রানের তাদের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করতে পারে। লিটন ১৪১ রানে আউট হলেও মুশফিক খেলেন অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস।

মুশফিকের ইনিংসে মুগ্ধ সিডন্স। তার মতে, এটা মুশফিকের টেস্ট ক্যরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস, ‘মুশফিক অসাধারণ খেলোয়াড়। তার ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি কিছুর দরকার পড়ে না। আমরা তার প্রস্তুতিতে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনেছি, তার পা নিয়ে কিছু কাজ করেছি। যা যথেষ্ট মনে হয়েছে। চট্টগ্রামে সে নিজেই পথ খুঁজে নিয়েছে, দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমি মনে করি, এই ম্যাচের সেঞ্চুরিটি তার অন্যতম সেরা ইনিংস। সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে।’

দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে শেষবেলায় সেরা পারফরম্যান্স চান বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আমার কাজটা হলো, তাদের পথ সহজ করা। তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ৩-৪ বছর অবশ্যই সেরা ফর্মে কাটানো উচিত। গ্রাফটা নিম্নমুখী হলে চলবে না। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তাদের ছোটখাটো কিছু এডজাস্টমেন্ট প্রয়োজন। আমরা সেগুলো নিয়েই কাজ করছি।’