ম্যাচ বাঁচানোর উপায় জানালেন সাকিব

দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় একই পরিণতি বাংলাদেশের। একজন ব্যাটার সাজঘরে ফিরতেই সেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন বাকি ৩জন। বৃহস্পতিবার প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৫০৬ রান করার পর মুমিনুল হকের দল পিছিয়ে পড়েছে ১৪১ রানে। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসেও কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ। ম্যাচ বাঁচানো তো পরের হিসেব, ইংনিস হার এড়াতে করতে হবে আরও ১০৭ রান। চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ বাঁচানোর উপায় জানালেন সাকিব আল হাসান! 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছে। শেষ বিকালে দৃঢ়তা দেখান আগের ইনিংসে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তাতে ৪ উইকেটে ৩৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে স্বাগতিক দল। এখন ৬ উইকেট নিয়ে ১০৭ রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে লক্ষ্য দিতে হবে। ফলে পথটা অনেক কঠিন। তবে সাকিব মনে করেন, ‘এখন দলের যা পরিস্থিতি সেখান থেকে যে দুজন আছে, ওরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে। এরপর আমি তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারলে দলের জন্য এটা বেশি গুরুরত্বপূর্ণ হবে।’

শেষ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে কোনওভাবেই উইকেট হারানো যাবে না। হারালেই বাজে অবস্থায় পড়তে হবে বলে জানালেন সাকিব, ‘লাঞ্চের আগে একটার বেশি উইকেট পড়লে আমরা খুব বাজে অবস্থায় থাকবো। লাঞ্চের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। যখন দুজন ব্যাটসম্যান এই উইকেটে সেট হয়ে যাবে, তখন তাদের আউট করা কঠিন।’

শুক্রবার পঞ্চম দিনে লঙ্কান দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্ডোকে সামলাতে পারলে পথ সহজ হবে বলে বিশ্বাস সাকিবের, ‘তাদের দুই ফ্রন্ট লাইন বোলার হচ্ছে পেসার। পেস বোলাররা সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় ওভারের স্পেল করতে পারে। লাঞ্চের ভেতর হয়তো দুজন সর্বোচ্চ দশ দশ বিশ ওভার বোলিং করতে পারবে। ওই হুমকি সামলাতে পারলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। বল পুরনো হয়ে যাবে, বোলাররা ক্লান্ত হবে, ব্যাটসম্যান সেট হতে পারবে।’