মুমিনুলের চেয়ে ভালো বিকল্প আমাদের নেই: সাকিব

৬, ০, ১, ৭, ৮৮, ১৩*, ০, ৩৭, ০, ২, ৬, ৫, ২, ৯, ০- স্কোরগুলো মুমিনুল হকের সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের। টেস্ট অধিনায়ক কোনওভাবেই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের ম্যাচেই কেবল ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বাকি ১৪ ইনিংসের মধ্যে মাত্র দুবার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন! আশা করা হচ্ছিল, লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু পারেননি। টেস্টে নিয়মিত রান করা মুমিনুল হুট করেই যেন হারিয়ে গেছেন। অথচ প্রতি টেস্টে সেঞ্চুরি করে এক সময় রেকর্ডবুক ওলট পালট করে ফেলছিলেন তিনি। টানা ব্যর্থতায় সেই মুমিনুলকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রসঙ্গও চলে আসছে। তবে সাকিব আল হাসান জানাচ্ছেন, মুমিনুলের বিকল্প কেউ নেই।

অধিনায়ক হওয়ার পর বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ভালো পারফরম্যান্স এলেও নিজের ছায়া হয়ে আছেন টেস্ট অধিনায়ক। বাঁহাতি ব্যাটার বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, ফর্ম নিয়ে তার দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়কের ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থতা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েই যাচ্ছে। তাহলে কি অধিনায়কত্বই তার ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে? পরিসংখ্যান কিন্তু তেমন কিছুই বলে। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ টেস্ট খেলেছেন। ৩১ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে রান ৯১২। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম ৭ টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরি পেলেও পরের ১০ টেস্টে সেঞ্চুরিবিহীন মুমিনুল। সব মিলিয়ে টেস্টে সর্বশেষ ১৫ ইনিংসে তার রান ১৭০, গড় ১২.১৪! অথচ অধিনায়ক হওয়ার আগে গড় ছিল প্রায় ৪১। অন্যদিকে ১৭ ম্যাচ অধিনায়কত্ব করে সেই গড় এখন নেমে এসেছে ৩১.৪৪-এ।

পুরনো ব্যর্থতার পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন বলেই আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু শুরুর ধাক্কা কাটাতে অধিনায়ক মুমিনুল হকও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারলেন না। উল্টো কাসুন রাজিথার বলে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। অধিনায়ক যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবেই দল সেখানে ব্যর্থ হবে। সাকিব তবু আস্থা রাখছেন মুমিনুলের ওপরই। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘একজন অধিনায়কের জন্য এই সময়টা খুবই কঠিন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা তাকে কীভাবে সমর্থন করছি। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের যে অবস্থা, মুমিনুলের থেকে বেটার কোনও অপশন নেই। কাজেই তাকে সাপোর্ট করতে হবে।‘

টানা ব্যর্থতার পরও টেস্ট অধিনায়ক বলছিলেন, নিজের ফর্ম নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। একটি ভালো ইনিংসই নাকি খারাপ সময়টা পেছনে ফেলে দেবে। সাকিবও তার সুরেই গলা মেলাচ্ছেন, ‘একটা ইনিংসের ব্যাপার, তাহলে ওর (মুমিনুল) সব কিছু চেঞ্জ হয়ে যাবে।’