৯ ব্যাটারের শূন্য রানে লজ্জার রেকর্ড বাংলাদেশের

দ্বিতীয় টেস্টে খালেদ আহমেদের স্টাম্প উপড়ে যেতেই লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। যে রেকর্ডের সঙ্গী হতে চাইবে না কোনও দেশ।

১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক টেস্টে (দুই ইনিংস মিলে) ৯ ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড আছে আরও দুটি। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ৯ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। শুক্রবার ঢাকা টেস্টের শেষ দিন লঙ্কানদের বিপক্ষেও একই রকম অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে খালেদ শূন্য রানে ফিরতেই বিব্রতকর এই রেকর্ডে নাম জুড়ে যায় স্বাগতিকদের।

সবমিলিয়ে মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংসে মোট ৯ ব্যাটার রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নেই।

অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ওই ইনিংসে তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ রানের খাতা না খুলে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য ব্যাটাররা অল্প বিস্তর রান পেলেও তামিম ইকবাল ‘পেয়ার’ হন। অর্থাৎ দুই ইনিংসেই শূন্য রানে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ছাড়া আর দুই ব্যাটারও রানের খাতা না খুলে আউট হয়েছেন।

তামিমের মতো জোড়া শূন্যের দেখা পান পেসার খালেদ আহমেদও। এছাড়া অধিনায়ক মুমিনুলও দ্বিতীয় ইনিংসে রান তুলতে পারেননি।

ঢাকা টেস্টের আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শূন্য রানের রেকর্ড ছিল ২০১৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টে ৮ ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি।

অবশ্য বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার শূন্য রান মেলালে রেকর্ডের খাতায় ঢুকে যাচ্ছে ঢাকা টেস্টও। বাংলাদেশের ৯ ব্যাটার ছাড়াও লঙ্কানদের দুই ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সবমিলিয়ে ১১ শূন্যের ভিত্তিতে আরেকটি রেকর্ডও ছুয়েছে ঢাকা টেস্ট!

আরও ১২ ম্যাচে এমন ১১ শূন্যের নজির আছে। এবারের আগে ১১ শূন্যের ম্যাচ ছিল ২০১৮ সালের জ্যামাইকা টেস্ট। সেবার স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।