সতীর্থদের স্মৃতিচারণায় সাইমন্ডসকে শেষ বিদায়

বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। বন্ধুদের মাতিয়ে রাখতেন নানা দুষ্টুমিতে। গৎবাঁধা জীবনে কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না। আমুদে স্বভাবের সঙ্গে ছিলেন স্বচ্ছ চরিত্রের অধিকারীও। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে উঠে এলো এসব স্মৃতিচারণাই। 

সড়ক দুর্ঘটনায় এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মারা গেছেন ২৩৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাইমন্ডস। শুক্রবার ৪৬ বছর বয়সী সাবেক অজি ক্রিকেটারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর টাউন্সভিলের রিভারওয়ে স্টেডিয়ামে হয়েছে তার স্মরণ সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাইমন্ডসের সাবেক সতীর্থ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ড্যারেন লেহম্যানসহ রিকি পন্টিংও।

সাইমন্ডসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রদর্শন করা হয় নানা স্মৃতি-স্মারক। সেখানে ছিল পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যাপ, ক্রিকেট ব্যাট, ফিশিং রড আর কাঁকড়া রাখার পাত্র। যা স্মরণ সভাকে আরও আবেগঘন করে তোলে।

সাবেক অধিনায়ক রিকিং পন্টিংয়ের কাছে সাইমন্ডস ছিলেন মহান একজন মানুষ, ‘আমার কাছে সে ছিল মহান একজন মানুষ ও সতীর্থ। যদি কালকেই কোনও টেস্ট, ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি দল গড়ি; তাহলে প্রতিদিন সে আমার দলে থাকবে।’

অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তো সাইমন্ডসের আনুগত্যের ভক্ত ছিলেন, ‘ও ছিল শুদ্ধ হৃদয়ের মানুষ। যার আনুগত্য ছিল অবিশ্বাস্য পর্যায়ের। আর মজার মানুষ তো ছিলই।’       

শুধু বিস্ফোরক মিডল অর্ডার ব্যাটারই নন। সাইমন্ডসের খ্যাতি ছিল ফিল্ডিংয়েও। অফস্পিনের সঙ্গে যার অন্যতম শক্তির জায়গা ছিল মিডিয়াম পেসটাও। ‘রয়’ ডাকনামে প্রসিদ্ধ এই তারকা ২৬ টেস্টও খেলেছেন। ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ ও ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাইমন্ডসের স্ত্রী লরা, মেয়ে ক্লোয়ে ও ছেলে উইল।