৫ আইপিএল জেতা পান্ডিয়ার লক্ষ্য এখন ‘বিশ্বকাপ’

অনেক দিন ধরে হার্দিক পান্ডিয়ার আসল সত্ত্বাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এবারের আইপিএলেই বুঝি দেখা মিললো তার। ফাইনালে ব্যাটে-বলে গুজরাটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। রাজস্থানের বিগ থ্রি’র উইকেট নিয়ে জিতেছেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার খেলতে নেমে শিরোপাও জিতেছেন প্রথমবার। এমন কীর্তি গড়ার পর বড় স্বপ্ন দেখা তো তারই সাজে! আইপিএল জয়ের পর পান্ডিয়া এখন লক্ষ্য বানিয়েছেন বিশ্বকাপকে।

অথচ নিলামের পর এই পান্ডিয়ার দলটিকে হিসেবের মধ্যে রাখেননি কেউ। অভিষেক আসর দিয়ে গুজরাট তো নিজেদের চেনালোই। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন হার্দিক পান্ডিয়াও। দীর্ঘ চোটের পর ছন্দে ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই আলাদা লক্ষ্য থাকার কথা ভারতীয় তারকার। প্রশ্ন ছুড়তেই হার্দিকের জবাবটা এলো এভাবে, ‘অবশ্যই লক্ষ্যটা হলো ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। যাই ঘটুক না কেন।’

আরও যোগ করে বলেছেন, ‘সেটা করতে আমার যা যা আছে, সবটুকু উজাড় করে দেবো। সব সময় এই মানসিকতার খেলোয়াড়ই ছিলাম। সবার আগে থাকে দল। তাই লক্ষ্যের কথা জিজ্ঞেস করলে উত্তরটা খুব সহজ- আমার দল যাতে সর্বোচ্চটা পায়।’

অবশ্য অতীতে বৈশ্বিক মঞ্চে শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল পান্ডিয়ার। তিনবারই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। যেমন, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার শেষ ওভারের কল্যাণে বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পেরেছিল। কিন্তু শেষচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। হতাশা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালেও ছিল একই পরিণতি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিছুটা ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন হার্দিক-ঋষভ। তার পরেও কিউইদের সামনে তারা পেরে উঠেননি।

তুলনায় আইপিএলে তাকে ভাগ্যবানই বলতে হবে। প্লে-অফে গেলে বিজয়ের বেশে ফিরতে দেখা গেছে তাকে। চারবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে, একবার গুজরাটে। তবে এবারের আসরটি একটু বেশি মর্যাদা পাচ্ছে পান্ডিয়ার কাছে। কারণ, ‘অবশ্যই এটা আমার কাছে একটু বেশি-ই স্পেশাল। এবার শিরোপা জিতেছি অধিনায়ক হয়ে।’ তবে আগের চার শিরোপা জয়কেও খাটো করে দেখেন না, ‘আগের চারবার শিরোপা জয়টাও স্পেশাল। আসলে আইপিএলে শিরোপা জয় আমার কাছে সব সময়ই স্পেশাল।’