মোস্তাফিজের পছন্দ থাকতেই পারে, চাপ প্রয়োগের কিছু নেই: সাকিব

২০১৫ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোস্তাফিজুর রহমানের। বাঁহাতি এই পেসার গত ৭ বছরে খেলেছেন মাত্র ১৪ টেস্ট। করোনার সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে টেস্ট খেলতে চাইছিলেন না। গত কিছুদিন ধরে আবার শোনা যাচ্ছিল ‘ওয়ার্কলোডের কারণে’ তিনি টেস্ট খেলবেন না। পরে আবার নিজেই জানান, এমন কিছু তিনি বলেননি। টেস্ট শুরুর আগের দিন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যেন মোস্তাফিজের হয়ে ব্যাট ধরলেন। তিনি বলেছেন, ফরম্যাট বাছাইয়ে মোস্তাফিজের পছন্দ থাকতেই পারে, এখানে চাপ প্রয়োগের কিছু নেই। 

অনেক সমালোচনার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট দলে মোস্তাফিজকে রাখা হয়। যদিও শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের ইনজুরির কারণেই টিম ম্যানেজমেন্ট বাঁহাতি এই পেসারকে চেয়েছিল। তাদের চাওয়াতেই মূলত দীর্ঘদিন পর লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়া হয় মোস্তাফিজকে।

টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজের প্রসঙ্গটি উঠলো। সাকিব স্পষ্ট করেই বললেন, 'পছন্দ থাকতেই পারে। উদ্বুদ্ধ করার কিছু নাই। মোস্তাফিজ যদি পছন্দ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় এবং ওর জন্য সেটা ভালো হয়। তাহলে সেটিকে সম্মান করা উচিৎ। '

তৃতীয় দফায় টেস্টের নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব আরও বলেছেন, 'দীর্ঘমেয়াদে কী আছে ওর (মোস্তাফিজ) মনে, সেটি আমি জানি না। তবে প্রতিটি খেলোয়াড়েরই কিছু প্রেফারেন্স থাকে, চয়েস থাকে, কমফোর্ট জোন থাকে; সেটিকে সম্মান করা উচিৎ।'

যদিও এক সাক্ষাৎকারে মোস্তাফিজ বলেছিলেন, তিনি টেস্ট খেলতে চান না এমন কথা কখনো বলেননি। তার ভাষ্যে, 'আমি কখনোই বলিনি- টেস্ট খেলতে চাই না। বিসিবির যদি আমাকে প্রয়োজন হয়, আমি দলের হয়ে খেলতে প্রস্তুত। দেশের হয়ে যেকোনও ফরম্যাটে খেলতেই আমি প্রস্তত আছি।’

আগে মোস্তাফিজের আগ্রহ থাকুক আর নাই থাকুক, এই মুহূর্তে তিনি টেস্ট খেলতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে স্থানীয় একটি দলের বিপক্ষে ৬ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। সবমিলিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে আলো ছড়াতে প্রস্তুত বাঁহাতি পেসার। সাকিবও জানালেন ম্যাচ খেলতে উদগ্রীব হয়ে আছেন এই কাটার মাস্টার। দলনেতার কথায়, 'যেহেতু এ সিরিজে আছে, আমি নিশ্চিত ও (মোস্তাফিজ) খেলার জন্য উজ্জীবিত। আমাদের জন্য সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও কিছুটা জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, ওর সঙ্গে কথা বলেছি, ও খুবই উজ্জীবিত।'