কেউ মুখে তুলে খাওয়াবে না, ব্যাটিং প্রসঙ্গে সাকিব

সেই একই গল্প! গত দুই দশকেও বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি নেই। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ভালো পারফরম্যান্স করলেও মোটা দাগে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। বিশেষ করে, একের পর এক সিরিজে ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার পর কেটে গেছে চার বছর। এই সময়ে তেমন উন্নতি হয়নি দলের। ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ সাকিব আল হাসান বলেই দিলেন, কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দেবে না তাদের।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। পরের টেস্টেও একই অবস্থা। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৬ ব্যাটার রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাকিবের হাফসেঞ্চুরিতে কোনোরকমে ১০৩ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। এমন বাজে ব্যাটিংয়ের কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক সাকিব, ‘ব্যাখ্যা করার কোনও উপায় দেখি না। আসলে আমার কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই। জানি না অন্য কারও কাছে আছে কিনা, আমার কাছে ব্যাখ্যা নেই।’

ব্যাটারদের সমালোচনা করে সাকিব বলেছেন, ‘এখানে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে, তাদের কাজটা তাদের করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না। কোচ ও অধিনায়কের কাজ এখানে সহজ, যদি কোনও ব্যাটসম্যান পারফর্ম না করে তাহলে তাকে বাদ দিয়ে দিলাম। এটা কোচ ও অধিনায়কের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ।’

বৃহস্পতিবার অ্যান্টিগাতে ভয়ংকর এক সকাল কাটায় সফরকারী বাংলাদেশ দল। ইনিংসের শুরুতেই তিন ব্যাটার- মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হাসান শান্ত ও মুমিনুল হক রানের খাতা না খুলেই আউট হন। জয় শেষ সিরিজেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শান্তর ব্যাটে রান নেই দীর্ঘদিন। অন্যদিকে অধিনায়কত্বের বোঝা কাঁধ থেকে নামলেও ব্যর্থতা কাটাতে পারেননি মুমিনুল। ৪ বছর পর টেস্টে ফিরে নুরুল হাসান সোহানেরও একই দুর্দশা, ফেরেন শূন্য রানে। পরে টেল এন্ডারের দুই ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদ আহমেদও খুলতে পারেননি রানের খাতা।

সাকিবের আশা, দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াবেন ব্যাটাররা, ‘ব্যর্থ হয়েছে, আশা করি তারা দ্বিতীয় ইনিংসে এমনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে যেন প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিতে পারে।’