অ্যান্টিগা টেস্ট হারের কারণ জানালেন সাকিব

একটা সময় বোলারদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হতো। কেননা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দুইবার অলআউট করতে পারতেন না তারা। মুশফিকুর রহিম অধিনায়ক থাকাকালীন সংবাদ সম্মেলনে প্রায়ই বোলারদের একহাত নিতেন। তবে সময় পাল্টেছে, এখন বোলারাই মেটাচ্ছেন দলের প্রত্যাশা। অন্যদিকে দিনের পর দিন ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যাটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টও ব্যতিক্রম নয়! কারণ হিসেবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করেন, ব্যাটারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বোলাররা।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের হতাশা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘ব্যাটিং ধসের কারণে বোলাররা সহায়তা পাচ্ছে না। আমাদের বেশি ব্যাটিং ধস হচ্ছে। এটা বোলারদের জন্য সহায়ক না। সব বোলারই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। বোলিং নিয়ে আমার কোনও অসন্তোষ নেই। প্রত্যেক বোলার নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে। প্রতিদিন মাঠে এসে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। তাই বোলিং নিয়ে কোনও অভিযোগ করব না। ব্যাটিংই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।’

অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে হারের কারণ হিসেবে সাকিব ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই সামনে আনলেন। তার মতে প্রথম ইনিংসে প্রথম সেশনে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া ব্যাটিং অর্ডার ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তামিম-লিটন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। পানি পানের বিরতির পর আবার ৭ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন, বাংলাদেশ করতে পারে ১০৩ রান।

প্রথম সেশনের ওই ব্যর্থতাকেই সামনে আনছেন সাকিব, ‘টস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এটা নিয়ে অভিযোগ করা যাবে না। টস আমাদের হাতে ছিল না। আমাদের এটা মেনে নিয়ে ভালো ব্যাটিং করতে হতো। উইকেট কঠিন ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। তবে আমরা আরও ভালোভাবে প্রয়োগ ঘটাতে পারলে প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারাতাম না। ২ উইকেট হারালেও চলতো। ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যাওয়াটা ভালো কিছু নয়। এই প্রথম সেশন আমাদের ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে।’

এর আগে ম্যাচ হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ক্ষোভ উগড়ে দেন সাকিব, ‘এটা মেনে নেওয়ার মতো না। আর আমরা এখন এমন নিয়মিতই (কলাপ্স) করছি। টেস্টে গত ৪-৫ ম্যাচে এমন হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। ব্যাটারদের রান করার পথ খুঁজতে হবে, উইকেটে টিকে থাকার উপায় খুঁজতে হবে। তাতে অন্তত টিকে থাকতে পারবেন। এই সহজ সমীকরণটা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে, উন্নতি করতে হবে।’