৪৪৬ রানের ম্যাচে ‘বাজি’ ধরেছিলেন ভারত অধিনায়ক

২২৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে এই স্কোরে নির্ভার থাকা যায়। তার ওপর প্রতিপক্ষ যখন আয়ারল্যান্ড, তখন ভারতীয় সমর্থকরা হয়তো ভেবেছিলেন, অনায়াসে জয় আসবে। কিন্তু আইরিশরা শেষ বল পর্যন্ত রেখেছিল ম্যাচের উত্তেজনা। যদিও ৪ রানে হারতে হয়েছে তাদের। শেষ ওভারে আইরিশদের দরকার ছিল ১৭ রান। ওই সময় ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল তুলে দিয়েছিলেন উমরান মালিকের হাতে। তাকে বল দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় হার্দিক জানিয়েছেন, ওই মুহূর্তে তিনি বাজি ধরেছিলেন।

ডাবলিনের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দীপক হুডা সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেন ১০৪ রানের ইনিংস। ৫৭ বলের ঝড়ো ইনিংসটি তিনি সাজান ৯ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায়। এছাড়া ওপেনিংয়ে নেমে সঞ্জু স্যামসন ৪২ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেন ৭৭ রান। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৫ রান করে ভারত।

কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে ২২১ রান করতে পারে আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি (৩৭ বলে ৬০) ও পল স্টারলিংয়ের (৪০) ঝড়ে শক্ত ভিত পায় স্বাগতিকরা। সেই ভিতের ওপর দাঁড়য়ে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন জর্জ ডকরেল (১৬ বলে ৩৪*) ও মার্ক এডির (১২ বলে ২৩*)।

যদিও তারা শেষ ওভারে ১৭ রানের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারেননি। আয়ারল্যান্ড থামে ৪ রান দূরে থাকতে। অর্থাৎ, ভারতের ২২৫ রানের জবাবে আইরিশদের ২২১ রান। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ৪৪৬ রানের ম্যাচ! যে ম্যাচের শেষ অংশে নায়ক অবশ্যই উমরান। টানটান উত্তেজনার ওই সময় হার্দিক বল তুলে দিয়েছিলেন এই পেসারের হাতে। শুরুর দিকে রান দিলেও পরে তিনি লাগাম টেনে ধরেন।

উমরানকে বল দেওয়া প্রসঙ্গে হার্দিক বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমি একটুও চিন্তিত ছিলাম না। আমি চাপমুক্ত থাকতেই পছন্দ করি। উমরানের গতির ওপর আমি বাজি ধরেছিলাম। জানতাম ওর যে গতি আছে, তাতে মারা কঠিন হবে।’