মাহমুদউল্লাহর ‘মুখস্থ বিদ্যা’য় বল পাননি মোসাদ্দেক

সাকিব আল হাসান-তাসকিন আহমেদরা মার খেলেও সাফল্য পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেনকে বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। রোভম্যান পাওয়েল ডানহাতি ব্যাটার বলেই ডানহাতি মোসাদ্দেককে বোলিংয়ে আনার ঝুঁকি না নিয়ে বিশেষজ্ঞ বোলারদের দিয়েই কাজটা চালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত যে ভালো হয়নি, সেটা ক্যারিবীয়দের ১৯৩ রানের স্কোর দেখেই বোঝা যায়।

২৬ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শুরুতে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৭৪ রান তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন নিকোলাস পুরান ও ব্রেন্ডন কিং। বাংলাদেশের কোনও বোলারই এই দুই ব্যাটারের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারছিলেন না। ১৩তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে বোলিংয়ে এসে রান তো দেনইনি, উল্টো ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের উইকেট তুলে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙেন। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও বাকি ওভারগুলোতে আনা হয়নি মোসাদ্দেককে।

ক্রিজে এসে মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন রোভম্যান পাওয়েল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে। ৬ ছক্কা ও ২ চারে বাংলাদেশের বোলিং এলোমেলো করে দেন এই হার্ডহিটার ব্যাটার। সাকিবের এক ওভারে তিন ছক্কা ও এক চার হাঁকান। তাসকিন-শরিফুল কেউই বাদ যাননি তার চওড়া ব্যাটের হাত থেকে। এমন মারমুখী ব্যাটারের সামনে অফ স্পিনার মোসাদ্দেককে পাঠিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

মূলত ডানহাতি ব্যাটার থাকার কারণেই মোসাদ্দেককে পাঠানো হয়নি। বাঁহাতি ব্যাটারের বেলাতেও একই ‘নিয়ম’। বাঁহাতি পুরান ক্রিজে থাকার সময় সাকিবকেও বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ। তার এমন মুখস্থ অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়ে যায় বাড়তি সুবিধা।

ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেছেন, ‘মোসাদ্দেককে অবশ্যই বোলিং করাতাম। কিন্তু রোভম্যান পাওয়েল যখন ব্যাটিংয়ে ছিল, যেহেতু দুজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান... আবার ওই পাশটা একটু ছোটও ছিল। এজন্য ঝুঁকি নেইনি। আমি তাসকিনকে ওই সময়ে বোলিংয়ে আনি। ওই পাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। দেখবেন সাকিবকে কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি, যেহেতু পুরান ব্যাটিং করছিল। আমার মনে হয়, রোভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।’