জিতলেও ক্যাচ মিসের আক্ষেপ

টানা হারের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ দল অবশেষে নিজেদের ‘প্রিয়’ ফরম্যাটে স্বস্তির জয় পেয়েছে। রবিবার গায়ানার প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা। জিতলেও চারটি ক্যাচ মিসে তামিম ইকবালের কণ্ঠে ঝরছে আক্ষেপ। বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নেমে এই ধরনের ভুল করলে ম্যাচ জেতা যাবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

রবিবার গায়ানার স্লো উইকেটে ১১০ রানেই স্বাগতিকদের ৯ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাকি ১ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও ৩৯ রান তুলে ফেলে। মূলত বাংলাদেশের ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতের কারণেই এমনটা হয়েছে। এই সময় চারটি ক্যাচের পাশাপাশি একটি রান আউটও মিস করে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে ম্যাচ জিততে সমস্যা না হলেও এই ভুলে আক্ষেপ ঠিকিই আছে তামিমের।

বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের বদলে ম্যাচটি গড়ায় ৪১ ওভারে। শরিফুল-মিরাজদের বোলিংয়ের সামনে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৪১ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। ক্যাচগুলো মিস না হলে স্বাগতিকদের স্কোর সর্বোচ্চ হতো ১১৫ রান- তামিম এমনটাই মনে করছেন, ‘অবশ্যই আমরা জিতেছি। এখানে অনেক কিছু আছে যেখানে আমরা ভালো করতে পারি। একটা ভালো কন্ডিশনে আরও বড় টিমের সঙ্গে এই ক্যাচগুলো কিন্তু অনেক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে। আমি অধিনায়ক হওয়ার পর বলেছি যে, এই একটা বিষয় নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। হয় এটা বন্ধ হতে হবে, না হয় কমে আসতে হবে। চারটা ক্যাচ মিস না হলে সম্ভবত আমরা ১১৫ রান তাড়া করতাম।’

প্রথম ওয়ানডেতে নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন মোস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের ওভারেই আবার ক্যাচ ছাড়েন আফিফ হোসেন। শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এছাড়াও রান আউটের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘এই একটা বিষয় আমাদের সিরিয়াসলি দেখতে হবে। কী হচ্ছে আসলে? অনুশীলনে তো কোনও সমস্যা দেখছি না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটা যাতে সব ম্যাচেই না ঘটে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম। মাত্র ৬ বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের পাশাপাশি ৫ বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। টিম কম্বিনেশন নিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা কি একটা এক্সট্রা বোলার খেলাবো নাকি একটা এক্সট্রা ব্যাটার খেলাবো, এটা নিয়ে অনেক তর্ক হতে পারে। একজন এক্সট্রা ব্যাটার খেলানো নিরাপদ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো আপনাকে ঝুঁকি নিতেই হবে। আসলে আমাদের তো একটা কম্বিনেশন নিয়েই যেতে হবে। হয়তো একটা ব্যাটার বেশি নিয়ে যেতে হবে, না হয় একটা বোলার বেশি নিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, ওয়ানডেতে পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলা উচিত। আমি আশা করি, সব ব্যাটার দায়িত্ব নিয়ে খেলবে এবং ফিনিশ করে আসবে।’