‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য সবার হয় না’

২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হয়েছিল বাংলাদেশেই। ১০ বছর পর ২০২৪ সালে আরও একবার বসতে যাচ্ছে আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ার খবরে রোমাঞ্চিত নারী দলের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার নিগার সুলতানা ও রুমানা আহমেদ।

মিরপুরে চলছে নারী দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আজ (বুধবার) ক্যাম্প শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ওয়ানডে অধিনায়ক নিগার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হচ্ছে- এই খবরে রোমাঞ্চিত উইকেটকিপার ব্যাটার, ‘খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপে খেলার সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কী হবে। বেঁচে থাকলে, খেলার সুযোগ পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়। নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে, যা দলকে বুস্ট আপ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।’

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি নিগার। কুড়ি ওভার ক্রিকেটে তার অভিষেক বিশ্বকাপের পর ২০১৫ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে। তবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে রুমানার। এই অলরাউন্ডারও দারুণ খুশি আরও একবার চেনা কন্ডিশনে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘গতকাল রাতে খবরটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ১০ বছর পর আমাদের দেশে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। এটা আমাদের জন্য অনেক গৌরবের।’

নিজের মাটিতে বিশ্বকাপ, সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রুমানার, ‘নিজেদের মাটিতে অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি সুযোগ থাকে। এখানে আমরা নিয়মিত খেলার কারণে উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা থাকবে।  বিশ্বকাপের আগে আমরা যদি প্রচুর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই, আমাদের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার হবে। দলটাও আগের চেয়ে অনেক ভালো। দলের খেলোয়াড়রা ডে বাই ডে অনেক উন্নতি করছে। আমি মনে করি, ১০ বছর আগের চেয়ে এবার আমাদের অনেক বেশি ভালো করা সম্ভব।’

রুমানা অনেক ম্যাচ খেলার মাধ্যমে ভুলত্রুটিগুলো বের করতে আনতে চান। আগামী দেড় বছরে এই প্রক্রিয়ায় যেতে পারলে বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি, ‘আগামী দেড় বছরে প্রচুর ম্যাচ খেলতে পারলে নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো আমরা জনতে পারবো। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবো। এজন্য আমাদের প্রচুর ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই। আমরা ভাগ্যবান যে আইসিসির কাছ থেকে অনেক ম্যাচ পেয়েছি। আর যেহেতু ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবো, আশা করি বিসিবিও আমাদের এখানে অনেক ম্যাচ আয়োজন করবে। যেসব আমাদের বিশ্বকাপে কাজে দেবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই ঘরের মাঠে আরেকটি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ বছরই এশিয়া কাপ খেলবে নিজেদের মাটিতে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্ট জয়ে আত্মবিশ্বাসী নিগার। এই বিশ্বাসের কারণও আছে। এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যে বাংলাদেশ।

ফলে শিরোপা ধরে রাখতে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে প্রস্তুত নিগার, ‘আমরা কিন্তু এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। সালমা আপুর হাতে শিরোপা এসেছে, এবার যেহেতু আমাদের মাঠে খেলা, দল হিসেবেও আমরা শক্তিশালী। কারণ নিজের মাঠে সবাই সেরা। ঘরের মাঠে আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ইচ্ছা তো আছে ট্রফি নিজের ঘরে আছে, নিজের ঘরেই রাখার। ১১০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করবো আমাদের ট্রফি আমাদের ঘরেই রাখতে।’