ক্যাচ মিসের খেসারত একদিন দিতেই হতো: তামিম

৮ বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাজত্ব করেছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তামিম ইকবালরা। এমন পরিসংখ্যান নিয়েই হারারেতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের কিছু ভুলের সঙ্গে ছন্নছাড়া বোলিং ও বাজে ফিল্ডিংয়ে হারতে হয়েছে সফরকারীদের। তামিম মনে করেন, ব্যাটিংয়ে কিছু রান কম হওয়া এবং ক্যাচ মিসের কারণেই হারতে হয়েছে।

হারারেতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৩০৩ রান করে। একাদশে ৮ ব্যাটার নিয়েও ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ৩০৩ রান করেছে বাংলাদেশ। শেষ ৩ ওভারে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আরও কিছু রান যোগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাটিং নিয়ে তাই তামিমের আক্ষেপ, ‘আমাদের আরও ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল। আমরা ১ উইকেটে ২৫০ রানের মতো অবস্থায় ছিলাম। এ অবস্থায় থাকলে একটু দ্রুত রান তোলা দরকার ছিল, যেন আমরা ওই অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করতে পারি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও দলের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং নিয়ে নিজের হতাশা জানিয়েছিলেন তামিম। প্রতি ম্যাচেই কেউ না কেউ ক্যাচ মিস করছেন। ফিল্ডিং ভালো না করায় বাড়তি কিছু রান হয়েই যাচ্ছে। তামিমের ভয় ছিল, ক্যাচ মিস করে যেকোনও দিন বাংলাদেশ ম্যাচ হারবে। শুক্রবার হারারেতে সেরকম কিছু হয়েছে। দুই সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা ‘জীবন’ পেয়ে সেটি খুব ভালো করেই কাজে লাগিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে বাজে ফিল্ডিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘প্রতিদিন আমি ক্যাচিংয়ের কথা বলি। বলছিলাম, এর জন্য একদিন না একদিন ভুগতে হবে। এটাই হয়তো সেই দিন ছিল। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে আমরা অনেকবার ক্যাচ ফেলেছি। কিন্তু ম্যাচ জিতে গিয়েছি। কিন্তু যখন এমন ভালো উইকেটে আপনি ৪টা ক্যাচ ফেলবেন, তাহলে আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন না। এখন মনে হচ্ছে, এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে পরের ম্যাচের আগে।’

গ্রাউন্ড ফিল্ডিং নিয়ে তামিম আরও বলেছেন, ‘অনেক সহজ রান দিয়েছি। এই মাঠে ২ রান হবে। কারণ, এক পাশটা বিশাল। এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কিন্তু সহজগুলো, যেগুলো সহজেই ডট বল হতে পারতো, সেগুলো থামাতে পারলে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। এগুলো অবশ্যই কষ্ট দেয়।’