জুলাইয়ের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ লঙ্কান স্পিনার

অভিষেকে ইতিহাস গড়েছেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। তার স্পিন জাদুতেই গলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কান দল। একই অবদান রাখেন পাকিস্তান সিরিজেও। তাতে এই নতুন বামহাতি স্পিন সেনসেশন জিতে নিয়েছেন আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ খেতাব।

জুলাই মাসের সেরা হতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ও ফ্রান্সের ব্যাটিং সেনসেশন গুস্তাভ ম্যাকেওন।

যে টেস্টটিতে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়ে প্রবাথ জয়াসুরিয়া এত আলোচনায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি সেই ম্যাচটা তার খেলার কথা ছিল না। লঙ্কান স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়াতে ডাক পড়ে ৩০ বছর বয়সীর। যিনি আবার চার বছর আগে দুটি ওয়ানডে খেলেই জাতীয় দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। গলে তার বোলিং নৈপুণ্যেই অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ম্যাচটা হারে এক ইনিংস ও ৩৯ রানের ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সমসংখ্যক উইকেট নেন ৫৯ রানের বিনিময়ে। 

এই ছন্দটা অব্যাহত থাকে পাকিস্তান সিরিজেও। সিরিজ ওপেনারে শ্রীলঙ্কা হেরে গেলেও বাবর আজমদের কাছে ত্রাসের অন্য নাম ছিলেন প্রবাথ। এক ইনিংসে ৮২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, অপরটিতে ১৩৫ রানে ৪টি। 

দ্বিতীয় টেস্ট তো তারই বোলিং নৈপুণ্যে জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করেছে স্বাগতিকরা। মাত্র তৃতীয় টেস্টে চতুর্থ ৫ উইকেট শিকারের নজির রাখেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে ৩ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ২৪৬ রানের জয় পেতে অবদান রেখেছেন।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা। সেরা তিনে স্থান পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে।

ফলে এমন অর্জনে রোমাঞ্চ অনুভব করছেন প্রবাথ। আইসিসিকে বলেছেন, ‘এই ঘোষণার পর থেকে আমি ভীষণ আনন্দবোধ করছি। আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অবশ্যই মাসটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য ছিল। বিশেষ করে অভিষেকের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ ড্রয়ে অবদান রাখতে পেরে।’